অবৈধ এসাইলাম প্রার্থীদের ডিপোর্ট করতে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র ঐকমত্য
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০১:৫৫ এএম, ২৫ মার্চ ২০২৩ শনিবার

জো বাইডেন ও জাস্টিন ট্রুুডো’র বৈঠক আজ
আজকাল রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা উভয় দেশই সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করা এসাইলাম প্রার্থীদের ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়েছে। অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় কিংবা কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী এসাইলাম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নতুন ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে। বিশেষ করে তা হবে আমেরিকার উত্তর সীমান্ত জুড়ে। অনুমোদন ছাড়া আমেরিকায় প্রবেশকারী এসাইলাম প্রার্থীদের নিরুৎসাহিত করাই দুই নেতার এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য। এই সমঝোতা অনুসারে আমেরিকা বা কানাডার সীমান্ত দিযে ১৪ দিনের মধ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ করলে সংশ্লিষ্ট দেশ তাদের ফেরত বা ডিপোর্ট করতে পারবে। উভয় পক্ষই প্রত্যাশা করছেন, এর ফলে সীমান্তে অনুপ্রবেশ কমবে। সম্প্রতি উভয় দেশের সীমান্ত দিয়ে অবৈধদের প্রবেশের হার বেড়ে যাওয়ায় দু’দেশ দ্রুত এ সমঝোতায় পৌঁছলো। আমেরিকায় বিশেষ করে দক্ষিন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে উত্তর সীমান্ত পার হয়ে এসাইলাম প্রার্থীরা কানাডায় ঢুকছে।
কানাডার রাজধানী অটোয়াতে আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো’ বৈঠকে বসছেন। বৈঠক থেকে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত এ বিষয়টির চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে। লসএঞ্জেলস টাইম গতকাল বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ এ বিষয়ে আগাম তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০০৪ সালে সম্পাদিত চুক্তির আপডেটের মধ্য দিয়ে নতুন ডিল করলো উভয় দেশ। সাম্প্রতিককালে কানাডা থেকে কাগজপত্রহীনদের আমেরিকায় প্রবেশের হার তুলনামূলক কম। বরং যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় প্রবেশের হার বেশি। গত ৬ মাসে কানাডা থেকে আমেরিকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে ২ হাজার ৮ শত ৫৬ জন। পক্ষান্তরে আমেরিকা থেকে কানাডায় ঢুকেছে ৪০ হাজার অবৈধ মাইগ্র্যান্ট।
উল্লেখ্য, কানাডায় প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় সফরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন গতকাল বিকেলে অটোয়া পৌঁছেছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের ইমিগ্রেশন সার্ভিস তা হ্যান্ডেল করতে পারছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ সমঝোতার বিকল্প ছিল না।
ইমেগ্রেশন এডভোকেটরা এ সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, বাইডেন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ইমিগ্রেশন বান্ধব ভূমিকা থেকে অনেকে দূরে সরে গেছেন। কানাডার সাথে তার এই চুক্তি প্রমাণ করে বাইডেন উল্টো পথে হাঁটছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়েও তিনি কম যাচ্ছেন না।