সাধারণ আমেরিকানরাও শরণার্থীদের স্পন্সর করার সুযোগ পাবেন
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৪:০৭ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার

অভিবাসীদের গ্রহণে বাইডেনের পাইলট প্রোগ্রাম
আজকাল রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন সাধারণ নাগরিকও যাতে বাইরের কোন দেশের কোন শরণার্থীকে স্পন্সর করে এদেশে তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে পারে সেই লক্ষ্যে বাইডেন প্রশাসন গতকাল বৃহস্পতিবার একটি নতুন পাইলট কর্মসূচি চালু করেছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে ‘ওয়েলকাম কর্পস’। এতে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার আমেরিকান স্পন্সর হিসাবে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করতে করতে পারবেন। তারা পৃথিবীর যে কোন দেশ থেকে ৫ হাজার শরণার্থীকে স্পন্সর করে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে পারবেন।
সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন গতকাল এক ভিডিও ভাষণে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেছেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে আমাদের শরণার্থী পুনর্বাসন ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে এ সম্পর্কিত এজেন্সিগুলির ওপর নির্ভরশীল হয়ে আছে। এখন এই নতুন উদ্যোগের ফলে বিভিন্ন কমিউনিটির সাধারণ মানুষ, ধর্ম ভত্তিক সংস্থাসমূহ, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটার্ণ প্রতিষ্ঠানগুলি এবং অন্যান্য সব গ্রুপও শরণার্থীদের পুনর্বাসন, তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি, তাদের জন্য আসবাবপত্র এবং শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি কাজে ভূমিকা নিতে পারবে। শরণার্থী সংক্রান্ত বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের যে ইমিগ্রেশন নীতি রয়েছে এই কর্মসূচি তাকে আরো সম্প্রসারিত করবে।
শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাইডেন প্রশাসনের এই পাইলট প্রোগ্রামে এমনকি গ্রীনকার্ড হোল্ডাররাও স্পন্সর করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শরণার্থীদের এদেশে বসবাসের সুযোগ করে দিতে পারবেন। নতুন পাইলট প্রোগ্রাম ইমিগ্রেশন এক্সপানশনের একটি ধাপ।
সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যানটনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, এ বছর শরণার্থী আগমনের তালিকায় কঙ্গো, মায়ানমার, আফগানিস্তান ও সিরিয়ানরা থাকবে শীর্ষে।
এ ধরনের কর্মসূচিতে শরনার্থীরা নিজ দেশ বা তৃতীয় কোন দেশে অবস্থান করে থাকে। নতুন এই প্রোগ্রামের আওতায় স্পন্সরশীপ ও আবেদন এপ্রুভ হবার পর রিফিউজিরা পুর্নবাসনের জন্য আমেরিকায় আগমন করবে। তবে স্পন্সরকারিকে তাদের বিমানবন্দর বা সীমান্তে স্বাগত জানানো, বাসস্থানের ব্যবস্থা ও তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রথম ৯০ দিন তাদের ভরণপোষনের দায়িত্বও নিতে হবে স্পন্সরকারিকেই।
প্রাথমিক ধাপে ইউএস রিফিউজি এসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের আওতায় ইতিমধ্যেই এপ্রুভড হওয়া শরণার্থীদের গ্রহণ করবে প্রাইভেট স্পন্সররা। দ্বিতীয় ধাপে প্রাইভেট স্পন্সররা নিজেদের ইচ্ছে মতো বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে স্পন্সর করে শরনার্থী আনতে পারবে।