নিজেদের অন্তঃকোন্দলে নারায়ণগঞ্জ ঐক্যফ্রন্টের পরাজয়
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৭:০৭ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ঐক্যফ্রন্ট নিজেদের অন্তঃকোন্দলের কারণে তেমন কোন সুবিধা করতে পারেনি। ফলে নির্বাচনের আগেই তাদের নৈতিক পরাজয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদরা।
নির্বাচনের পূর্বে ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন পাওয়া না পাওয়ার নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত ফ্রন্টের টিকেট বাগিয়ে নেন তুলনামূলক কম জনপ্রিয় নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ-১: এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে নেতাকর্মীদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ফলে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকেই তার সাথে দেখা যায়নি। যার সূত্র ধরে কাজী মনিরুজ্জামানের পক্ষে সংসদীয় এলাকায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণাও তেমন জমে উঠেনি। প্রায় অনেকটা ফাঁকা মাঠেই বিপক্ষ দলীয় মনোনীত প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে গেছেন।
নারায়ণগঞ্জ-২: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপির টিকেট পেয়েছে নজরুল ইসলাম আজাদ। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তার নির্বাচনী এলাকায় তিনি নেতাকর্মীদের সাথে মনোনয়ন পাওয়ার আগে কোন যোগাযোগ রাখেননি। এবং নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় এলাকার নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ভোটের দিনেও সংসদীয় এলাকায় তার দেখা পাওয়া যায়নি। নেতাকর্মীদের সাথেও তার তেমন একটা যোগাযোগ রক্ষা করেনি। ফলে আড়াইহাজার আসনের অনেক কেন্দ্রই বিএনপির কোন নেতাকর্মী ছিল না। অনেকটা খালি মাঠেই গোল দিয়েছেন বিপক্ষের প্রার্থীরা।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনেও বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের জমিয়ত উলামার প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে নিয়েও স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ছিল। তাকে প্রার্থী করার বিষয়টি অনেকেই সহজভাবে মেনে নিতে পারছিলেন না। ফলে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীরও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা জমে উঠেনি। প্রচারণা চলাকালীন সময়ে সংসদীয় এলাকায় দুই একদিনের বেশি তাকে দেখা যায়নি। একই সাথে বিএনপির নেতাকর্মীরাও তাকে সঙ্গ দেয়নি।
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। কিন্তু তাকে পাশকাটিয়ে মনোনয়ন বাগিয়ে নেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম।
এ আসনে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী এস এম আকরাম শুরুর দিকে বেশ জোরালো ভাবেই নির্বাচনী প্রচারণা চালায়। কিন্তু তার এই সক্রিয়তায় সঙ্গ দেয়নি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের অনুসারীরা। প্রচারণার প্রথমদিকে কিছুটা সক্রিয়তা দেখালেও মাঝপথে এসে এস এম আকরামকে অনেকটা একাই ছেড়ে দিয়েছেন আবুল কালাম সমর্থিত কর্মী সমর্থকরা।
