অস্ট্রেলিয়ায় পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৫:০২ এএম, ১ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
মার্কিন সামরিক বাহিনী একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে যা অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘমেয়াদী সময়ের জন্যে বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন থাকবে। বেইজিংয়ের সাথে ওয়াশিংটনের অচলাবস্থায় দেশটির উত্তরাঞ্চলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কৌশলগতে স্থানে পরিণত করেছে। পেন্টাগন একটি ‘স্কোয়াড্রন অপারেশন ফ্যাসিলিটি’ তৈরি করবে, যার মধ্যে রয়্যাল অস্ট্রেলিয় এয়ার ফোর্স মিলিটারি এয়ার বেস টিন্ডালে একটি রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র এবং ছয়টি বি-৫২ বিমানের জন্যে পার্কিং এলাকা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আরটি
এধরনের বিমান ঘাঁটি সম্প্রসারণের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে এবং ২০২৬ সালের শেষের দিকে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এর পর নতুন সুবিধাগুলি কৌশলগত ক্রিয়াকলাপকে জোরদার করতে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ‘বর্ধিত বিমান সহযোগিতা’ নিয়ে আগে সমঝোতা হলেও বি-৫২ বিমান মোতায়েনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। মার্কিন বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন বিমান বাহিনীর বোমারু বিমান মোতায়েন করার ক্ষমতা আমাদের প্রাণঘাতী বিমান শক্তি আরো দৃশ্যমান করে তুলবে এবং তা প্রতিপক্ষের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ডারউইনের উপকণ্ঠে, এয়ারবেস থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে একটি বিশাল ২৭০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে জেট ফুয়েল স্টোরেজ সুবিধা নির্মাণ করছে। একই সময়ে, অ্যালিস স্প্রিংসের কাছে একটি যৌথ মার্কিন এবং অস্ট্রেলিয়ান গুপ্তচর ঘাঁটির উন্নয়ন কাজ চলছে। ২০২১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য একটি নতুন নিরাপত্তা চুক্তি করে যা ক্যানবেরাকে প্রথাগতভাবে সশস্ত্র এবং পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন প্রদানের পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করে।
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মার্কিন বিমান বাহিনীর এধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু সতর্ক করেছিলেন যে বিষয়টি সমগ্র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘বিস্ফোরণ’ ঘটাতে পারে। যেহেতু এই চুক্তিটি একটি সামরিক-রাজনৈতিক জোট হয়ে উঠছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন অবশ্য এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন যে ওয়াশিংটন ‘এশীয় ন্যাটো’ গঠন করতে চাইছে না।
