ধ্বংসের মুখে ইয়েলো ক্যাব চালকের পেশা
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:১৩ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২২ শনিবার

নানা প্রতিকূলতায় টিকে থাকতে পারছে না হলুদ গাড়িগুলি
আজকাল রিপোর্ট
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ইয়োলো ট্যাক্সি ড্রাইভিং পেশা। এই পেশায় নিয়োজিতরা এখন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত। প্রস্তাবিত কনজেশন প্রাইজ বা ম্যানহাটানে গাড়ির ওপর টোল বসানোকে ট্যাক্সি ড্রাইভাররা তাদের পেশার অপমৃত্যু ঘটানোর পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন। মিডটাউন ম্যানহাটান থেকে ডাউন টাউন ব্যাটারি পার্ক এলাকা পর্যন্ত ট্যাক্সিসহ কোন গাড়ি প্রবেশ করলেই ৯ থেকে ২৩ ডলার পর্যন্ত টোল প্রদান করতে হবে। ট্যাক্সি ড্রাইভাররা বলছেন, কনজেশন প্রাইজ আরোপিত হলে নিউইয়র্ক সিটির আইকনিক ইয়োলো ক্যাবের কফিনে তা হবে শেষ পেরেক।
বাংলাদেশের নোয়াখালি জেলার বাসিন্দা আবুল হোসেন ২০ বছর ধরে নিউইয়র্ক সিটিতে ট্যাক্সি চালান। তিনি আজকালকে বলেন, গত দেড়যুগে ইয়োলো ক্যাবের এ ধরনের দুর্দিন দেখিনি। ড্রাইভাররা পেশা ছাড়ছেন। নিউইয়র্ক ছাড়ছেন। সিটিতে ট্যাক্সির ওপর টোল বসালে যাত্রীরা আর ক্যাবে উঠবে না। ৭ ডলারের ভাড়ায় যাত্রীরা নিশ্চয়ই ২৩ ডলার টোল দিতে চাইবেন না। এমতাবস্থায় যাত্রীশূন্য ইয়োলো ক্যাব রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করবে। একদিন সিটি হয়ে পড়বে ক্যাব শূন্য। মৃত্যু ঘটবে সিটির আইকনের।
এদিকে করোনার পর থেকে ইয়োলো ক্যাব ব্যবসা নিম্নমুখি। ১৩ হাজার ৩২০টি ইয়োলো ক্যাবের মধ্যে এখন মাত্র ৭ হাজার ক্যাব সক্রিয় রয়েছে। উবার ও লিফটের কারণে ইয়োলো ব্যবসাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যে মেডিলিয়নের দাম ৪ বছর আগেও ছিল ১ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। তা এখন ১ লাখ ডলারেও বিক্রি করা যাচ্ছে না। অনেক বাংলাদেশি ইয়োলো ক্যাব ড্রাইভার মেডিলিয়ন কিনে পথে বসে গেছেন। কেউ কেউ ব্যাকক্র্যাপসি করতে বাধ্য হয়েছেন।