রূপগঞ্জ বদলে দেওয়ার নায়ক ‘গাজী সাহেব’ ছাড়া পথ নাই
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৭:২২ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
‘বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী সাহেব গত ১০ বছর ধরে এমপি আছেন। তার আমলের আগে যে রূপগঞ্জ ছিলো সেই রূপগঞ্জের সঙ্গে আজকের রূপগঞ্জের কোনও মিল নেই; রূপগঞ্জকে আমূল বদলে দেওয়া মানুষটাকে ভোট দেব নাতো কাকে দেব? চোখের সামনে তো আর কাউকে দেখি না-তাই ভোটটা এবারও গাজী সাহেবকেই’, এসব কথা নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের রূপগঞ্জের বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা বলছেন, ‘দেশে নির্বাচনই হয় দেশের জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করার জন্য, যারা দেশের ও দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করবে। তাই দেশের জনগণ তাকেই নির্বাচিত করবে যিনি মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে বিগত বছরগুলোতে। আমাদের এলাকাতে একচেটিয়াভাবে উন্নয়ন করেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী, তাই তাকে ভোট দেওয়ার কোনও বিকল্প নেই আমাদের কাছে।’আর নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি পরপর দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে আমি জনগণের সেবা করার চেষ্টা করেছি। ২০০৮ সালে যখন আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই, তখন রূপগঞ্জে রাস্তাঘাট ছিল না, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না, বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতায় ঘর থেকে বের হওয়া যেত না। সেই রূপগঞ্জ এখন বদলে গেছে। রূপগঞ্জে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।’ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০৮ সালে প্রথম গোলাম দস্তগীর গাজী নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, এরপর দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০১৪ সালে। জানা যায়, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি এলাকার উন্নয়নে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছেন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত উপজেলার শিক্ষাক্ষেত্রে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। ২০০৮ সালেও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা ছিলো নাজুক। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিলো রূপগঞ্জ উপজেলা। এখন রূপগঞ্জে বদলে গেছে শিক্ষার চিত্র। এছাড়া রূপগঞ্জে শতভাগ শিক্ষার্থী এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানমুখী। ফলে রূপগঞ্জে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এখন শূণ্যের কোঠায়। রূপগঞ্জে শিক্ষাক্ষেত্রে এতো কিছুর পরিবর্তন হয়েছে গোলাম দস্তগীরের হাত ধরে। তাঁর একান্ত প্রচেষ্টায় রূপগঞ্জে ৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে, বেসরকারি ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ হয়েছে। এছাড়া তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলায় ৮টি কলেজ ও ৫টি মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর সরকারিভাবে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত (চলতি) রূপগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে ২৫ কোটি ৮ লাখ টাকা। যার পুরোটা কৃতিত্ব গোলাম দস্তগীর গাজীর। এদিকে, রূপগঞ্জ উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জের উন্নয়নে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম তারাব পৌরসভা। ২০০২ সালের ৭ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় তারাব পৌরসভা। তারাব পৌরসভা এখন আধুনিক ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আগে বাড়ি থেইক্যা বাইর হইলে কাদা-পানি পাড়াইতে হইত, কিন্তু এখন বাড়ির সামনে রাস্তায় গাড়ি (স্থানীয় রিকশা) দিয়া ঘরের দরজায় যাইতে পারি। এই অবস্থার বদল হইছে কেবলমাত্র গাজী সাহেবের জন্য।’
