মঙ্গলবার   ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৪ ১৪৩২   ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

উনার মতো এসপির দরকার ছিলঃ সেলিম ওসমান

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৪২ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন,একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য উনার মতো এসপির দরকার ছিল। সে কারণেই এসপিকে নারায়ণগঞ্জ আনা হয়েছে। উনার মতো স্ট্রং এসপির দরকার ছিল। এক সময়ে হয়তো উনাকে অন্যত্র বদলি হয়ে যেতে হবে। এটাই স্বাভাবিক।  আমরা কেউ চিরস্থায়ী নই। আমাদের সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। 

মঙ্গলবার ৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের আসন্ন লাঙ্গলবন্দ উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দদের সাথে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।

জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমূলক সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, লাঙ্গলবন্দ উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, এফবিসিসিআই এর পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, লাঙ্গলবন্দ উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুজিত সাহা, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিতোষ কান্তি সাহা, লাঙ্গলবন্দ উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি বাসুদেব চক্রবর্তী, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকারসহ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রস্তুতিমূলক সভায় সেলিম ওসমান আরো বলেন- সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এই ৪টি ধাপের আইনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ পরিচালিত হয়। আমরা সবাই জনস্বার্থে কাজ করে থাকি। কাজ করতে গিয়ে আমাদের একজন আরেক জনের সাথে ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ যে কোন স্থানেই যেতে পারে। এটা আমাদের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু এটা পাবলিকের মাঝে কোন প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু এ বিষয়গুলো পাবলিকের মাঝে প্রভাব আনতে পারেন শুধু সাংবাদিক ভাইদের লেখনীর মাধ্যমে। তাই সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা যদি কোন কিছু শুনতে পান তবে ওই বিষয়ে আমাদের সাথে কথা বলে বক্তব্য নিবেন। আজকে এখানে অনেক সাংবাদিক উপস্থিত হয়েছে।  

আমি আর এসপি এক টেবিলে বসছি আপনারা হয়তো লিখবেন অবশেষে বরফ গলতে শুরু করেছে। আসলে বরফ গলার কিছু নাই। বরফই জমে নাই তো গলবে কোথা থেকে।

সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমি সৌদি-আরব থেকে শুনতে পেরেছি আমাদের ২ জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু এখানে এসে কাগজপত্র ঘেটে দেখলাম তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলাই হয় নাই। কেউ যদি বলে বসে সেলিম ওসমানের সহযোগীতায় কাজটি করেছি। তাহলে পুলিশ সেটা তদন্ত করতেই পারে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ হয়তো ভুল করে ধরেও ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালত আছে। বাদিকদের কাছে অনুরোধ যতক্ষন পর্যন্ত কিছু না ঘটে ততক্ষন পর্যন্ত ঘটিয়ে দিয়েন না। যতখানি রটে ততখানি ঘটে না। যত গর্জে তত বর্ষে না। 

আমাদের মাঝে কোন বিভেদ নাই। আইনকে আমাদের সবার সম্মান করতেই হবে। যতক্ষন আমরা জনপ্রতিনিধি আছি, আমাদের জেলা প্রশাসক আছেন, আমাদের পুলিশ সুপার আছেন, ততক্ষন আমাদের আইনের প্রতি সম্মান রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। এই আইনের সাথে কোন ঝগড়া বিভেদ থাকতে পারেনা। যতক্ষন চেয়ারে থাকবো ততক্ষন ওই চেয়ারকে সম্মান করতেই হবেই।