বিএনপিতে কোন্দল বেড়েই চলেছে
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৬:২০ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

দলের দুঃসময়েও নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের দ্বন্দ্ব কমছে না বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কিমিটি ঘোষণা করা হলেও দ্বন্দ্বের কারণে মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা স্থগিত রয়েছে।
আর সদ্য ঘোষিত বন্দর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর দ্বন্দ্বের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। তবে জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিজের অবস্থান ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৈমূর। তবে তার ভাই খোরশেদ কৌশল অবলম্বন করে নিজের অবস্থান অনেকটা শক্ত করেছেন। জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে তৈমূর পন্থিরা বিভিন্ন অপ্রচার চালাচ্ছে বলে বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দের মন্তব্য। জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি গঠনের পর থেকেই তৈমূর পন্থীরা পদ পদবী না পেয়ে নতুন কমিটির বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছিল যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে।
২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী জেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী কাজী মনিরুজ্জামান ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সেক্রেটারী করে জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর সম্প্রতি পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা দেয় কেন্দ্র। কমিটি ঘোষণার পর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হতে শুরু করলে অনেকটা চিন্তিত হয়ে পড়েন তৈমূর। জেলা ও মহানগর বিএনপির বিপরিতে আলাদা বলয় সৃষ্টি করে তৈমূর আলম খন্দকার।
২০১৭ সালে কমিটি ঘোষণার পর থেকে এপর্যন্ত পৃথক ভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছে তৈমূর। যদিও কর্মসূচির নামে ফটোসেশনের অভিযোগই বেশি তার বিরুদ্ধে। অপরদিকে অভিযোগ রয়েছে, মহানগর বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লোভ দেখিয়ে অনেক নেতার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। নেতাকর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি। মহানগর বিএনপি’র ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেন সভাপতি এড. আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। সেই কমিটিতে বিগত দিনে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে সরকারি দলের চাটুকার এবং কামালের পছন্দের লোকদের স্থান দেওয়া হয়েছে বলে ক্ষোভ জানিয়েছিলো অনেক নেতা। সেই সাথে কমিটি নিয়ে মোটা অংকের বানিজ্যের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এনিয়েও মহানগর বিএনপিতে দ্বন্দ্ব চলছে। এছাড়াও সম্প্রতি জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটির নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। যে কারণে কমিটি ঘোষণার পরও এখনো এক সাথে তাদের দেখা যায়নি।