মঙ্গলবার   ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৪ ১৪৩২   ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

অবস্থিত এলপি গ্যাসের গোডাউনের জন্য। 

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:২২ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০১৯ রোববার

যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা, যেতে পারে অনেক শিশুর প্রাণ।  আমাকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনেক অভিভাবকরা এলপি গ্যাসের গোডাউনটি তুলে দেবার জন্য অভিযোগ করেছে। 

আমিসহ স্কুল এলাকার বিভিন্ন বাসার মালিকরা গোডাউন ভাড়া দেবার মালিককে বেশ কয়েকবার বলার পরও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। 

এছাড়া এই এলাকার কিছু পুলিশ অফিসার বসবাস করে তারাও মালিককে বলার পরও এলপি গ্যাসের গোডাউনটি সরানো হয়নি।  তাছাড়া আমাদের স্কুলটি অনেক বছর যাবৎ চালু কিন্তু এলপি গ্যাসের  গোডাউনটি এখনো একবছর পূর্ণ হয়নি। 

স্কুলের শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বললে তারা বলে এলপি গ্যাসের গোডাউন এখান  থেকে তুলে দেবার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানানোর পরও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। 

আরো কয়েকজন অভিভাবক বলেন, এখন আমাদের সন্তানদের স্কুলে নিয়ে আসতেই আমাদের ভয় হয় কারণ যে কোন সময় শিলিন্ডার বিস্ফোরন হয়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।  শুধু স্কুলের শিক্ষার্থীই নয় এখানে কয়েকটি কোচিং সেন্টারও রয়েছে যেখানে প্রতিদিন আদর্শ স্কুল, গভঃ গার্লস স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পড়ছেন সেই কোচিং সেন্টারগুলোতে। 

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় কিভাবে মানব মারার বোমা এলপি গ্যাসের দোকান গড়ে তোলা হয় তা আমাদেও কারোর বোধগম্য নয়।

এলপি গ্যাস ট্রেডার্সের জমির মালিক মোঃ মান্নান সাহেবের সাথে কথা বলার জন্য তার বাসায় গেলে পাওয়া যায়নি।  তার ছোট মেয়ে তার মুঠোফোনের নাম্বার দেয়।  মুঠোফোনে তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি কোন কল রিসিভ করেন নাই।

ফয়সাল ট্রেডার্সের মালিক মোঃ শরিয়তের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কোন এলপি গ্যাস বিক্রি করি না।  আমাদের এলপি গ্যাস গাড়িতে থাকে।  ঢাকা থেকে আসে।  কোন গ্যাস আমরা গোডাউনে রাখি না। 

প্রতিদিন গোডাউন থেকে এলপি গ্যাস গাড়ীতে করে দোকানে দোকানে নিয়ে বিক্রি করা হয়।  সেটা কি জানতে চাইলে শরিয়ত বলেন, আমরা গাড়িতে করে প্রতিদিন ঢাকার আগারগাঁ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এনে বিক্রি করি।

এলপি গ্যাসের বিক্রি এবং মজুদের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোন অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে নারায়নগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, এলপি গ্যাস বিক্রি ও মজুদের জন্য কোন প্রকার অনুমোদন আমাদের কাছ থেকে নিবে না, তারা ফায়ার সার্ভিস থেকে নিবে।  আর তারা যেখান থেকে কিনে আনে মূল উৎপাদন কেন্দ্র আমাদের কাছ থেকে অনুমোদন নিবে।

ফয়সাল টের্ডাসের এলপি গ্যাস বিক্রির অনুমোদন নারায়নগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে কিনা এব্যাপারে জানার জন্য নারায়নগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের অফিস কর্মকর্তা বলেন, এব্যপারে আমি কিছু জানি না তবে স্যার সব কিছু জানে।  আপনি অফিসে এসে স্যারের সাথে কথা বলেন।  স্যাররাই এইসব বিষয় দেখে থাকেন।