টাঙ্গাইল-৪ : নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন লতিফ সিদ্দিকী
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৪:০৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
রবিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে সিইসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন তিনি।
এ সময় দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই জানিয়ে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার কারণে আমার নেতাকর্মীরা মার খাবে তা আমি মেনে নিতে পারব না। তাই আমি নিজেই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য লতিফ সিদ্দিকী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে, আমি ১৩৩ টাঙ্গাইল-৪ জাতীয় সংসদ আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে নির্বাচন করার পরিবেশ নেই।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় রাজনৈতিক দলে, নেতায় নেতায়, জনমতকে পক্ষে পাওয়ার জন্য থাকে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। কিন্তু বর্তমান এমপি বালু ব্যবসায়ী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশের ছত্রছায়ায় আমার ওপর হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর করে, এতে ২০/২১ জন সমর্থক আহত হয়।’
বর্তমান এমপি এলাকাকে ত্রাস ও সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘদিন পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে লড়েছি, কিন্তু পুলিশ এমন উলঙ্গভাবে কোনো প্রার্থীর সমর্থন করে নিরীহ মানুষদের হুমকি দেয়, আমার মিছিল বন্ধ করে এমপির মিছিলে সহযোগিতা করে এমন দেখেনি। পুলিশের অত্যাচারের পরও আন্দোলন করা যায়, পুলিশ বিপক্ষে অবস্থান নিলে নির্বাচন করা যায় না।’
অভিযোগ করে লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘প্রতিদিন আমার সমর্থকদের গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। এমপির সরাসরি হস্তক্ষেপে, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার উসকানিতে আমার অফিস ভেঙে দিচ্ছে। পরিস্থিতির এহেন অবনতিতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি- নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর।’
লতিফ সিদ্দিকী এ সময় ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমি আপনার মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাতে চাই- আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম।
