1. প্রচ্ছদ
2. রাজনীতি 1

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামীকাল সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সোমবার থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে এবং নির্বাচনি এলাকায় যে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই সময়ে তারা কাজ করবেন তারা।

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) জারিকৃত এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচনে ‘ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ অনুযায়ী কাজ করবেন সেনাবাহিনীর এ সদস্যরা। তারা জেলা/উপজেলা/মহানগর এলাকার সংযোগস্থলে ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন। তারা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করার মাধ্যমে প্রয়োজন অনুসারে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনাকক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে ইসির কাজে সব ধরনের সহায়তা দেবেন তারা।

কর্মপরিধিতে আরও বলা হয়েছে, অবৈধ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সেনা সদস্যদের ডাকা হলে তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী দায়িত্বপালন করবেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেট সামরিক শক্তি প্রয়োগ ও গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন।

ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হলে কমিশন্ড অফিসার সামরিক শক্তি প্রয়োগ এবং গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন। ম্যাজিস্ট্রেটের লিখিত নির্দেশেই সামরিক শক্তি প্রয়োগের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে মৌখিক নির্দেশ দিলে পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটি লিখিত আকারে দেবেন। এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকায় নৌবাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্বপালন করবে। 

এছাড়াও রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় টহল ও অন্যান্য আভিযানিক দায়িত্ব পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা সহায়তা চাইলে অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করবে স্বশস্ত্র বাহিনী। প্রয়োজনে থানা বা উপজেলা পর্যায়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা হবে।

এ দিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দেশব্যাপী বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে।