হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নৌকার সমর্থকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৫২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার
নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৬ দিন, তাই প্রচার প্রচারণায় সরগরম রাজধানীসহ সারা দেশ। সকাল থেকেই প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের কাছে। কর্মী-সমর্থকরাও চালাচ্ছেন প্রচারণা। ভোটারদের মন জয় করতে নানা প্রতিশ্রতি দিচ্ছেন তারা। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বড় দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। তবে এখনো প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপির প্রার্থীদের। শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা।
ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী বাসাবো এলাকায় প্রচারণা চালান। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সব দলকেই শান্তির মনোভাব নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে হবে। আর ঢাকা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দীন আহমেদ রাজধানীর জুরাইনে গণসংযোগে অংশ নেন।
এসময় প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন তিনি। হ্যাটট্রিক (টানা তিনবার) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আশায় ঢাকা-৮ আসনের বিভিন্ন এলাকা ‘চষে’ বেড়াচ্ছেন মহাজোট মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। প্রতিদিনই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এবং একাধিক পয়েন্টে নির্বাচনী গণসংযোগ চালাচ্ছেন ঢাকা-৮ থেকে পরপর দুইবার নির্বাচিত এ সংসদ সদস্য। শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা-৮ নির্বাচনী এলাকার অলিগলিতে বিশাল শোডাউন করে নৌকার সমর্থকরা। মহাজোটের এই প্রার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গণসংযোগ চালান এবং ফকিরাপুল টিঅ্যান্ডটি কলেজের সামনে থেকে গণমিছিলে অংশ নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে মেনন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও অগ্রগতির পক্ষে সব সময় ভূমিকা রেখেছে। এখানে স¤প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের কোনো স্থান নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার অতীত ও ঐতিহ্য অনুয়ায়ী সবসময়ই মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেছে। বাংলদেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠ স্বাধীনতাযুদ্ধে গৌরবময় ভূমিকা রেখেছিল। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা ভোট দিতে ভুল করবে না। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষেই তারা রায় দেবে।
এদিকে, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বর্তমান
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন। সরকারের সফলতার গল্প শুনে সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নৌকা নৌকা বলে শ্লোগান দিতে শুরু করার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আরও কথা আছে শুনুন। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের উন্নয়ন তোলে ধরে মুন্সীগঞ্জ ২ আসনে নৌকার প্রার্থীর বিজয়ের লক্ষ্যে শনিবার সকাল থেকে দিনভর গণসংযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানু আখতার। নির্বাচনী গণসংযোগে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলহাজ আবুল বাসার, সেলিম আহম্মেদ মোড়ল, মজিবর রহমান আকন, তোফাজ্জল হোসেন তপন, দেলোয়ার হোসেন জনিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমান শহরের ঈদগাহ মাঠে উঠান বৈঠক করেন।
পরে কয়েকটি এলাকায় প্রচারণা চালান। নারায়নগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী কাজি মনিরুজ্জামান মনির কাজিপাড়ায় উঠান বৈঠক ও কর্মীসভা করেন। এসময় উভয়ই দাবি করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা বিজয়ী হবেন। সকালে ফরিদপুর ৪ আসনে নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। আর ফরিদপুর কাড়কান্দি এলাকায় পথসভা করেন ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর সকালে পৌর এলাকার হাসপাতাল রোড এলাকায় প্রচারনা চালান। এসময় উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দেন তিনি।
এদিকে ভোলা ৩ আসনে নৌকার প্রার্থী নুরুন নবী চৌধুরীর পক্ষে ভোট চাইতে গণ সংযোগ করেন চিত্রতারকারা। লক্ষীপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি সকালে নিজ বাসায় সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগে করেন। এছাড়া, শনিবার সকাল থেকেই গণসংযোগে অংশ নেন কুমিল্লা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহম মুস্তফা কামাল এবং কুমিল্লা ৬ আসনের প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার। এসময় তারা সরকারের নানা উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চান।
