ভাত খেয়ে ওজন কমান
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৪:৪৭ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার

অনেকেরই ধারনা ভাত খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। অনেকেই একদিকে ভাত-প্রেমী অন্যদিকে ওজন নিয়েও চিন্তিত। সেজন্য ভাত খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে এমন কোন কথা নেই, শুধু পরিমাণটা একটু খেয়াল রাখুন। অল্প করে ভাত খেলে ওজনের ভয় পেতে হবেনা। রান্না করা সাদা ভাতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে রান্না করলে সাদা ভাতের জুড়ি নাই। ১০০ গ্রাম রান্না করা ভাতে ১৩০ ক্যালোরি এবং ২৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এর মধ্যে কোনো খাদ্যতন্তু থাকে না, কারণ আমরা চাল অবস্থায় তার খোসা ছাড়িয়ে ফেলি।
১০০ গ্রাম সাদা ভাতে মাত্র ২ দশমিক ৭ গ্রাম প্রোটিন এবং সামান্য কিছু ভিটামিন পাওয়া যায়। ভাত দিয়ে তৈরি যে কোনো পদে আবার লবণ বেশি মাত্রায় থাকে। ভাতের মধ্যেই সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট বর্তমান থাকে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা যেকোনো সময়ে বাড়িয়ে দিতে পারে। তার উপরে আপনি যদি ওজন কমানোর বিষয়ে উৎসাহী হন অথচ ভাত খেতেও ভালোবাসেন তাহলে উপায় একটাই ভাত রান্নার পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এমনভাবে ভাত রান্না করুন যাতে তার স্টার্চের পরিমাণ বেশ খানিকটা কমানো যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ওজনের দিকে খেয়াল রেখে ভাত রান্নার পদ্ধতি-
১. ভাতকে যতটা পারবেন ফুটিয়ে নিন।
২. খাওয়ার সময়ে অল্প পরিমাণে ভাত এবং উচ্চমানের খাদ্যতন্তু যুক্ত শাকসবজি বেশি করে খান।
৩. সেদ্ধ ভাতের মধ্যে সামান্য গোটা জিরে ফেলে দিন এতে রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আপনার ভাতেও একটা হালকা ফ্লেভার হবে।
৪. হাঁড়িতে যখন ভাত ফুটাতে বসাবেন তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল ফেলে দিন। এতে ভাত দ্রুত রান্না হবে এবং ভাতে থাকা স্টার্চের পরিমাণ অনেকটাই নারকেল তেল নিয়ন্ত্রণ করবে। ফলে আপনার ভাতে ক্যালোরির পরিমাণ কমবে।
৫. প্রেসার কুকারে ভাত রান্না করলে তার মধ্যে কয়েকটা লবঙ্গ ফেলে দিন। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে তো থাকবেই পাশাপাশি এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেকোনো ইনফ্ল্যামেশন মোকাবিলায় সাহায্য করবে।