শনিবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৩ ১৪৩২   ০৭ রজব ১৪৪৭

মৎস্য পণ্যে ভেজাল মেশালে দুই বছরের কারাদণ্ড

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:০৪ এএম, ১৯ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার

মৎস্য পণ্যে ভেজাল মেশালে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য আইন-২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

 

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

 

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এ আইনের ৯ ধারায় এ ধরণের অপরাধের জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে বলে বিধান রাখা হয়েছে। আগে এ শাস্তি ছিল ৩ মাসের জেল এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা। এছাড়াও এ আইনের ২১ ধারায় প্রশাসনিক জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। 

যদি কেউ এ আইনের ব্যত্যায় ঘটায় তাহলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা পরিদর্শক কোনো ব্যক্তিকে অনধীক ৫ লাখ টাকা জরিমানা পর্যন্ত প্রশাসনিক জরিমানা হিসেবে করতে পারবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি একই অপরাধ পূনরায় সংঘটিত করলে শাস্তির বিধান দ্বিগুণ হয়ে যাবে। অর্থাৎ আরোপিত জেল ২ বছরের স্থলে ৪ বছর হবে।

এ আইনে মৎস্য পণ্যের একটি সংজ্ঞা ঠিক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, মৎস্য পণ্য বলতে সব প্রকার কঠিন ও কোমল অস্থি বিশিষ্ট প্রাণী, সাধু বা লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজপ্রাণী, কচ্চপ, কাছিম, কুমির, কাকড়া জাতীয় প্রাণী, শামুক, ঝিনুক, ব্যাঙ এবং উল্লেখিত জলজ প্রাণী অথবা প্রাণীসমূহের জীবন্ত কোষ জীবনচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকার কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটেড প্রাণীকে মৎস হিসেবে গণ্য করা হবে।

তিনি বলেন, সংজ্ঞাটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে করা হয়েছে। 

 

তিনি আরো বলেন, আইনের ১০ ধারায় বলা হয়েছে, মৎস ও মৎস পণ্যে ভেজাল বা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করলে তা শাস্তির আওতায় আনা হবে। মূলত মাছে ভেজাল যেমন চিংড়িতে জেলি মেশানো ইত্যাদি ঠেকাতে মনিটরিং জোরদার করতে এ আইন করেছে সরকার।