কাপড়ের আয়ু বাড়াতে কিছু টিপস
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৪:১৯ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার

যতই নতুন হোক বা পরিষ্কার ইস্ত্রি করা হোক না কেন, একবার গায়ে জড়ানোর পর এর আসল ঠিকানা হয় লন্ড্রি বাস্কেট। আপনি খেয়াল করেছেন কী? পোশাক সহজেই রং চটা, পুরনো হয়ে যাচ্ছে কেনো?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এজন্য সব সময় কোম্পানির মেটারিয়াল দায়ী নয়, একটি পোশাক পরার ও ব্যবহারের কিছু অভ্যাসের কারণে এমনটি হয়। আর সেটা হচ্ছে, কারণ যদি ঘাম, ময়লা, ধুলাবালি লেগে থাকে, তাহলে সেটা তো আর দ্বিতীয়বার পরার উপযোগী থাকে না। তাই বাধ্য হয়েই আমাদের প্রতিদিন পোশাক পরতে হয়।
তবে আমরা এটা অনেকেই জানি না অতিরিক্ত বা ঘনঘন ধোয়ার কারণেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের পছন্দের পোশাক। আরো কিছু কারণ আছে, পোশাক নষ্ট হওয়ার পেছনে। আসুন জেনে নেই কারণগুলো।
নিশ্চয় পোশাকের যত্ন নেবেন। তবে তার জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম আসুন আমরা আজ নিয়মগুলো জেনে নেই।
ট্যাগ পড়ুন মন দিয়ে: জামা-কাপড় কেনার পর তার ট্যাগ খুলে শরীরে চড়িয়ে নেওয়াই আমাদের অভ্যাস। কিন্তু, এবার সে অভ্যাসে রাশ টানুন। জামা-কাপড় কিনে খুঁটিয়ে পড়ে ফেলুন ট্যাগ। তাতে দাম ছাড়াও লেখা থাকে জরুরি কিছু কথা। ওতেই থাকে পোশাকের মান, ফেব্রিক্স ও তা যত্নের নিয়ম। সব পোশাক যেমন ঘনঘন কাচা যায় না, আবার কিছু জামা-কাপড় আছে, যেগুলো রোজ কাচলেও সমস্যা নেই।
কাচার সময়ে বিশেষ জামা কাপড় আলাদা কাচেন তো? নাকি হরদম সব জামা-কাপড়ের সঙ্গে পানিতে ভিজিয়ে কাচছেন বিশেষ পোশাকও? পোশাকে ঘন ঘন ইস্ত্রি দরকার কিনা বা প্রয়োজনে কতটুকু ইস্ত্রি যথেষ্ট, তার খতিয়ানও কিন্তু দেয়া থাকে নামি কোম্পানির পোশাকে। কাজেই তা দিনের পর দিন নতুনের মতো দেখাতে চাইলে, মেনে চলুন ট্যাগে দেয়া নির্দেশনা।
সঠিক সাবানের ব্যবহার: এও এক অদ্ভুত ঝোঁক। বরাবরের ব্যবহারের সাবান হঠাৎ বদলে ফেললেন বিজ্ঞাপনের চক্করে বা আরো বেশি পরিষ্কারের জন্য। এ অভ্যাস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। আসলে, প্রায় সব ধরনের ডিটারজেন্ট বা লিকুইডে কম-বেশি একই রাসায়নিক থাকে। মূলত ফসফেট, কার্বনেট ও সোডিয়াম স্যালিকেট। এ সব রাসায়নিকের অণুগুলোর একাংশ ‘ওয়াটার লাভার’, যা সহজেই পানিতে মেশে। অপর অংশ কিন্তু ‘ওয়াটার হেটার’, যা মেশে তেলের সঙ্গে। বিভিন্ন রকমের ডিটারজেন্টে এর হিসেব আলাদা-আলাদা হয়। কাজেই কোনো ধরনের পোশাকের জন্য কী সাবান বাছবেন, সেটাও সাবানের কম্পোজিশন দেখে ঠিক করুন।
সিএমসির সঠিক মাপ: সিএমসি (কার্বোক্সি মিথাইল সেলুলোজ/ কার্বোক্সিমিথাইলসেলুলোজ)। এই সিএমসির উপরই নির্ভর করে একটি ডিটারজেন্টের নোংরা পরিষ্কারের ক্ষমতা। সাবান যত মৃদু তার সিএমসি-ও তত কম। ফলে খুব নোংনরা হয়েছে এমন পোশাক কাচতে সিএমসি কম এমন মানের সাবান বাছলে ঠকবেন।
ইস্ত্রি করার সঠিক নিয়ম: অবশ্যই পোশাক ইস্ত্রি করবেন। তবে তারও কিছু নিয়ম আছে। ইস্ত্রির সরাসরি তাপ সবরকম পোশাকের জন্য উপকারী নয়। কিছু কিছু জামা-কাপড়ের ফেব্রিক্স উত্তাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নরম কাপড় বা বিশেষ কিছু রেশমকে ইস্ত্রির উত্তাপ থেকে দূরে রাখাই ভাল। একান্তই ইস্ত্রির প্রয়োজন পড়লে হালকা আয়রন বুলিয়ে নিন। অথবা, ভরসা করুন আদি উপায়ে— পোশাক ভাল করে ভাঁজ করে ঢুকিয়ে নিন বিছানার গদির তলায়। পরার আগে ইস্ত্রির মতো টান দেখে নিজেই চমকে যাবেন।
ভাল পোশাক আলনায় নয়: আলনা নয়, চেষ্টা করুন আলমারি ব্যবহার করতে। আলনায় ঝুলিয়ে রাখলে পোশাকের বিশেষ অংশের উপর চাপ পড়ে। ফলে আলনার রডের সঙ্গে লেগে থাকা অংশে হ্যাঙ্গিং লাইন তৈরি হতে পারে। ক্ষতি হয় ওই জায়গার ফেব্রিক্স। তার চেয়ে ন্যাপথালিন বা কালো জিরা ছড়িয়ে আলমারিতে রাখুন পোশাক।