শনিবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৩ ১৪৩২   ০৭ রজব ১৪৪৭

রোহিঙ্গা ইস্যু: এনজিওগুলোর কার্যক্রম নজরদারির নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা দেশি-বিদেশি এনজিওগুলোর কার্যক্রম কঠোর পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির মধ্যে রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বুধকার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, অনেক এনজিও রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছে। কিন্তু দেখা গেছে যে, এখন পর্যন্ত এনজিওগুলো ১৫০ কোটি টাকার হোটেল ভাড়া দিয়েছে। আসলে তারা বিদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য টাকা এনে কাজ করে। কিন্তু দেখা যায় তাদের (রোহিঙ্গা) জন্য এর ২৫ শতাংশও খরচ হয় না। ৭৫ শতাংশ-ই খরচ হয় যারা এগুলো তদারকি করে তাদের পেছনে।

মোজাম্মেল হক বলেন, অনেক এনজিও ইল-মোটিভ (খারাপ উদ্দেশ্য) নিয়ে কাজ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়িটি খতিয়ে দেখতে কঠোর নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের ওখানে (কক্সবাজার) কিছু এনজিও আছে, ধারণা করা হচ্ছে, আমাদের গোয়েন্দা রিপোর্টেও সেগুলো লক্ষ্য করছি, অনেক এনজিও-ই ইল মোটিভ (অসৎ উদ্দেশ্য) নিয়ে কাজ করে।

আপনারা শুনলে অবাক হবেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হোটেল বিল দিয়েছে ১৫০ কোটি টাকার ওপরে, ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছে ৮ কোটির টাকারও বেশি। বিদেশ থেকে যে টাকা আনে সেটা ভুক্তভোগী অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের জন্য ২৫ শতাংশও খরচ হয় না।

৭৫ ভাগই খরচ হয় এগুলো দেখাশোনা করার জন্য, ওনাদের (এনজিওকর্মী) জন্য। এটা খুবই দুঃখজনক। এটা আরো খতিয়ে দেখার জন্য আমরা গোয়েন্দা বাহিনীকে বলেছি। অভিযোগের যথার্থতা নিরূপণের জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করা এনজিওদের সংখ্যা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা চিহ্নিত করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে বলা হয়েছে। তদন্ত করে তাদের নামসহ দেয়ার জন্য গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তরের জন্য সব প্রক্রিয়া এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যেকোনো সময় তাদের সেখানে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হতে পারে। তাদের (রোহিঙ্গা) কোথায় রাখা হবে সেটা বাংলাদেশের ব্যাপার, বিদেশের কোনো বিষয় নয়।

বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।