বাঙালি সি.এস.পি অফিসাররা অসহযোগ আন্দোলন সমর্থন করে
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ১২ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার
১২ মার্চ সকাল ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন ব্যারিস্টার এ. আর. ইউসুফ। দুজনের মধ্যে দীর্ঘ আলাপ হয়। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা সম্পর্কে ইউসুফের মতামত জানতে চেয়েছিলেন। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আপনাকে এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে- এন. ডি . এফ এর ৯ দফার। ভিত্তিতে সমাধানে পৌঁছাতে হবে নয়তো বর্তমান আন্দোলন ও গণদাবির প্রেক্ষিতে এক দফার ঘোষণা দিতে হবে। এছাড়া আপনার আর কোন বিকল্প নাই।
১৯৭১ সালের ১২ মার্চে বাঙালির বিজয় আরো এক ধাপ এগিয়ে যায়। এই দিনে বাঙালি সি. এস. পি-রা অসহযোগ আন্দোলন সমর্থন করে এগিয়ে আসেন। পাকিস্তানের ‘জনগণের সেবক’ হিসেবে সৃষ্ট সি. এস. পি শ্রেণি চিরদিন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে জনগণকে ‘সেবা’ করবেন এমনটাই কাম্য ছিলো পাকিস্তানী শাসকদের। তাদেরকে সেইভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরিও করা হয়েছিল কিন্তু বাঙালি সি. এস. পি অফিসাররা দেশের স্বাধীনতার আহ্বান উপেক্ষা করতে পারেননি।
স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হওয়ার অনেক অনেক সি. এস. পি অফিসার সীমান্ত অতিক্রম করে নির্বাচিত- বাংলাদেশ সরকারের অধীনের চাকরি করেছেন, কেউ কেউ নিহত হয়েছেন সামরিক জান্তার হাতে। আবার কেউ কেউ দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত জেল খেটেছেন।
সূত্র : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ : এম. এ ওয়াজেদ মিয়া। অসহযোগ আন্দোলন, একাত্তর : রশীদ হায়দার।
