বৃহস্পতিবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ২ ১৪৩২   ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

রোনালদো-দিবালাদের ছাড়াও দুর্বার জুভেন্টাস

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৪:৪৭ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৯ সোমবার

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, পাওলো দিবালা, মারিও মানজুকিচদের ছাড়াও দুর্বার জুভেন্টাস। বরং রোনালদো-দিবালা-মানজুকিচদের ছাড়াই জুভেন্টাস বেশি শক্তিশালী! গতকাল শুক্রবার রাতে জুভেন্টাসের অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে অন্তত এটাই প্রমাণিত। আক্রমণভাগের এই তিন সেরা অস্ত্র ছাড়াই জুভেন্টাস উদিনিসের বিপক্ষে জিতেছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে।

 

আগামী মঙ্গলবার অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল’র দ্বিতীয় লেগ। কোয়ার্টার ফাইনালে জিততে হলে যে ম্যাচে জুভেন্টাসকে জিততে হবে অন্তত ৩-০ গোলে। প্রথম লেগে অ্যাতলেতিকোর মাঠ থেকে ২-০ গোলে হেরে এসেছে। মঙ্গলবার নিজেদের ঘরের মাঠের ম্যাচটিতে তাই কঠিন সমীকরণের সামনে জুভেন্টাস।

কঠিন ওই ম্যাচের কথা ভেবেই উদিনিসের বিপক্ষে সিরি আ’র ম্যাচটিতে দলের তারকা খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। রোনালদো-দিবালা-মানজুকিচদের পরিবর্তে আক্রমণভাগে নামিয়ে দিয়েছিলেন মোইসে কেন, ফেডেরিকো বারনারদেশি, অ্যালেক্স সান্দ্রোদের মতো তরুণদের। এই তরুণরা প্রমাণ করেছেন, সুযোগ পেলে তারাও দলের জয় পতাকা উড়াতে প্রস্তুত। প্রস্তুত রোনালদো, দিবালাদের শূন্যতা পূরণ করতে।

 

বিশেষ করে মোইসে কেন প্রমাণ করেছেন, চাইলে কোচ অ্যালেগ্রি নিয়মিতই আস্থা রাখতে পারেন তার ওপর। ইতালিয়ান তরুণ গতকালই প্রথমবারের মতো জুভেন্টাসের হয়ে সিরি আ’র ম্যাচে শুরুর একাদশে খেলার সুযোগ পান। আর সুযোগ পেয়েই ১৯ বছর বয়সী তরুণ করেছেন জোড়া গোল। গড়েছেন ১৯৮২ সালে গুইসেপে গালদেরিসির পর সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে সিরি আ’র এক ম্যাচে জোড়া গোল করার কীর্তি।

ম্যাচে জুভেন্টাসের অন্য গোল দুটি করেছেন এমরি কেন ও ব্লেইস মাতুইদি। তবে ১৯ বছর বয়সী মোইসে কেনই বড় নায়ক। দীর্ঘদেহী তরুণ ম্যাচের ১১ মিনিটেই অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় উপস্থিত ৩৯ হাজার দর্শককে নাচিয়ে তোলেন। দুর্দান্ত এক গোল করে এগিয়ে দেন জুভেন্টাসকে। ৩৯ মিনিটে আরও জুভদের উৎসবের মধ্যমণি কেন। তার কাঁধে চেপে প্রথমার্ধেই জুভেন্টাস এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।

জুভেন্টাস কোচ অ্যালেগ্রি চাইলে প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে সুযোগ পাওয়া ম্যাচটাতে হ্যাটট্রিকের স্বাদও পেতে পারতেন কেন। কিন্তু ৬৭ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টিটা কেনকে নিতে দেননি কোচ অ্যালেগ্রি। পেনাল্টিটা নিয়েছেন আরেক কেন। মানে এমরি কেন।

১২ গজ দূর থেকে গোলটি করে তিনি দলকে এগিয়ে দেন ৩-০ গোলে। এর ৪ মিনিট পরই স্কোরটা ৪-০ করে ফেলেন ফরাসি মিডফিল্ডার ব্লেইস মাতুইদি। উদিনিসের হয়ে সান্ত্বনার গোলটি করেছেন লাসাগনা, ৮৪ মিনিটে।

বড় এই জয়ের জুভেন্টাসের অপরাজিত যাত্রাটা অব্যাহত। পাশাপাশি শিরোপার পথটাও আরও বেশি প্রশস্ত হলো। এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাপোলির চেয়ে এগিয়ে জুভরা এগিয়ে গেছে ১৯ পয়েন্টে। ২৭ মাচে শিরোপার সুবাস পাওয়া জুভেন্টাসের পয়েন্ট হলো ৭৫। এক ম্যাচ কম খেলে নাপোলির ৫৬।