নিষিদ্ধ হতে পারেন নেইমার
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৪:৪২ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৯ সোমবার

ইনজুরির কারণে এমনিতেই মাঠে বাইরে আছেন নেইমার। তাকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে জিতে এসেছিল পিএসজি। কিন্তু ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ৩-১ ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি।
বুধবার রাতে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটের খেলা চলছে। ম্যাচের স্কোরকার্ড তখন পিএসজি ১ : ২ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই অবস্থায় ম্যাচ শেষ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠত নেইমারের পিএসজিই। কারণ প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠ থেকে ২-০ গোলে জিতে এসেছিল পিএসজি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতায় ফরাসি ক্লাবটিই পেয়ে যেত শেষ আটের টিকিট।
এসময় রেফারির একটি বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। যে সিদ্ধান্তেই গুঁড়িয়ে গেছে পিএসজির স্বপ্ন। দিওগো দালতের শট পিএসজির ফরাসি ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিমপেম্বের বাহুতে লাগে। রিপ্লেতে পরিষ্কার, হেড করার জন্য লাফিয়ে উঠেছিলেন কিমপেম্বে। হাত তার পেছনে ছিল। সুতরাং এটা ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল ছিল না। ভার প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েও রেফারি সিদ্ধান্ত বদলাননি। ফলে অন্তিম মুহূর্তে গোল খেয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্ন শেষ হয়ে পিএসজি।
বিষয়টি মোটেও মানতে পারেননি নেইমার। ক্রুদ্ধ ব্রাজিল তারকা নিজের ইনস্টাগ্রামে রেফারিদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করেছেন। ক্ষোভের প্রমাণ হিসেবে কিমপেম্বের ওই হ্যান্ডবলের একটা ছবিও পোস্ট করেছেন। তার নিচে লিখেছেন, ‘এটা কলঙ্কের। উয়েফা এমন ৪ জন মানুষকে (রেফারি, দুই সহকারী রেফারি ও ম্যাচ রেফারি) ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে, যারা ফুটবলের রিভিউ (ভার) সম্পর্কে কোনো কিছুই জানে না। জানে না কীভাবে স্লো মোশনে রিভিউ ব্যবহার করা হয়।’
বিষয়টি নজরে এসেছে উয়েফার। সংস্থাটির ১১ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছেন নেইমার। ফলে সামনের মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩ ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন বিশ্বের দামী এই ফুটবলার।
তবে তার শাস্তির বিষয়টি জানা যাবে ২৮ মার্চের পর। সেদিন উয়েফার কর্মকর্তারা বৈঠকে বসবেন। সেখান থেকেই নেইমারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।