মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২   ১৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান বাড়ায় যে ১০ খাবার

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ৯ মার্চ ২০১৯ শনিবার

রক্ত মানব দেহের চালিকাশক্তি। রক্ত দেহের সকল অংশে অক্সিজেন এবং সব ধরনের পুষ্টি উপাদান বয়ে নিয়ে যায়। 

দেহে রক্তের উপাদানগুলো কম থাকলে সুস্থ ভাবে বাঁচা সম্ভব নয়। রক্তে আছে- লালা রক্ত কণিকা ও সাদা রক্ত কণিকা।

লাল রক্ত কোষে আছে বিশেষ কিছু আয়রন। যাকে বলা হয় হিমোগ্লোবিন। হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো ধমনি থেকে দেহের সব জায়গায় রক্ত সরবরাহ করা। হিমোগ্লোবিন দেহ কোষ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সরবরাহ করে তা পুনরায় ফুসফুসের কাছে পৌছে দেয়। যাতে তা নিঃশ্বাসের সঙ্গে বের হয়ে যেতে পারে।

 

সুতরাং রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে দেহ অক্সিজেনের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে রক্ত শুন্যতার মতো অনেক রোগ দেখা যায়। এ থেকে বাচার উপায় হলো হিমোগ্লোবিনের পরিমান বাড়ায় এমন কিছু খাবার খাওয়া। 

রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান বাড়ায় এমন ১০টি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন-

গোশত: রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান বাড়াতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রাণিজ প্রোটিন। সকল ধরনের লাল গোশত যেমনঃ গরুর মাংস , খাসির মাংস খেতে হবে। কলিজা আয়রনের সব চেয়ে ভালো উৎসগুলোর মধ্যে একটি। আয়রন হিমোগ্লোবিনের উপাদানের জন্য জরুরি। মুরগীর গোশত লাল না হলেও তা দেহকে অনেক আয়রন সরবরাহ করে থাকে।

সব ধরনের রসালো সাইট্রিক ফল: সব ধরণের রসালো সাইট্রিক ফল রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। আম, লেবু এবং কমলা ভিটামিন সি এর সব চেয়ে ভালো উৎস। দেহের আয়রন শুষে নেয়ার জন্য ভিটামিন সি সব থেকে জরুরি। স্ট্রবেরি, আপেল, তরমুজ এবং বেদানাতেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।

সামুদ্রিক খাদ্য: সামুদ্রিক খাবারে আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টির উপাদান আছে প্রচুর পরিমানে। অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার রোগীদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় স্টার, গ্লামস এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাদ্য রাখতে হবে।

 

সয়াবিন: সয়াবিন বা ছোলা জাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকে। সয়াবিন বর্তমানে রোগীদের জনপ্রিয় একটি খাবার। এ থেকে সুস্বাদু সব খাবার তৈরি হয় এবং রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়ায়।

পূর্ন শস্য জাতীয় খাবার: চাল, গম, বার্লি এগুলো রক্ত শূণ্যতায় আক্রন্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারি খাবার। এসব খাবার প্রয়োজনীয় কার্বো-হাইড্রেড সরবরাহ করে থাকে। বিশেষ করে, লাল চাল সব বয়সী রোগীদের জন্য আয়রনের বিশেষ উৎস হিসেবে গন্য করা হয়।

সবজি: প্রতিদিন তাজা সবজি খেলে আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান এবং নানা ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি মিলবে। আলু , কপি, টমেটো , কুমড়া এবং লেবু আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সক্ষম। সব ধরনের সবজিই মোটামুটি আয়রন সমৃদ্ধ।

ডিম: ডিম হলো আর একটি আমিষ জাতীয় খাদ্য। যাতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। ডিমের হলুদ কুসুমে আছে প্রচুর পরিমানে খনিজ পুষ্টি এবং ভিটামিন। এ কারনে দূর্বল রোগীদের প্রতিদিন সিদ্ধ ডিম খেতে বলা হয়।

শুকনো ফল: কিচমিছ ও খেজুরে আছে প্রচুর পরিমানে আয়রন , ভিটামিন এবং আশঁ। এসব খবার খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে দ্রুত গতিতে।

 

বাদাম: যেকোনো ধরনের বাদাম এই মানব দেহের জন্য উপকারি বলে বিবেচিত হয়। যে কারণে তরুণদের কাজু বাদাম, বিজলী বাদাম, চিনা বাদাম এবং আখরোট খেতে বলা হয়। এতে রক্তে হিমগ্লোরোবিনের মাত্রা বাড়ে।

ডার্ক চকলেট: শিশুদের প্রিয় ডার্ক চকলেটেও থাকে প্রচুর পরিমানে আয়রন। এমন কী ডাক্তারাও ডার্ক চকলেট খেতে বলে। এ সবগুলো খাদ্যই দেহে আয়রনের ঘাটতি মেটায়। এ ধরনের খাবারগুলো রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও দ্রুত গতিতে বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত এ খাবারগুলো খেলে, দেহে  রক্তের পরিমান, জীবনী শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।