শনিবার   ২২ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩২   ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

আমজাদ হোসেনকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক 

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৪:৩৪ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সর্বস্তরের মানুষ।

শনিবার বেলা ১১ টায় ভক্ত ও সহকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয় আমজাদ হোসেনের মরদেহ। এ সময় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভক্তরা ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাকে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন- সৈয়দ হাসান ইমাম, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মামুনুর রশীদ, রামেন্দ্র মজুমদার, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আবুল কালাম আজাদ, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ফকির আলমগীর, রোকেয়া প্রাচী, সালাহউদ্দিন লাভলু, এস এ হক অলিক, অভিনেতা আবদুল আজিজ, চিত্রনায়ক হেলাল খান, ম হামিদ, মুশফিকুর রহমান গুলজার, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধা ৭১, টেলিভিশন প্রডিউসার সংঘ, অভিনয়শিল্পী সংঘ, শিল্পকলা একাডেমী, আরটিভি, প্রাচ্যনাট, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে এটিএন বাংলায় নিয়ে আসা হবে। এরপর বাদ জোহর তার প্রিয় কর্মস্থল বিএফডিসিতে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। এফডিসিতে জানাজা শেষে, চ্যানেল আইতে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর জামালপুর নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে গুণী এই নির্মাতার মরদেহ। আমজাদ হোসেনের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে।

 

গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসাপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ হোসেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেয়া হয়েছিল তাকে।

প্রায় ৬৫ লাখ টাকা খরচের কারণে মরদেহ দেশে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিল আমজাদ হোসেনের পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমজাদ হোসেনকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান তার ছোট ছেলে সোহেল আরমান।

 

১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন আমজাদ হোসেন।পরবর্তী সময়ে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন।১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’ নির্মাণ করে প্রশংসা কুড়ান। টেলিভিশন নাটক, গান, কথাসাহিত্যেও আমজাদ হোসেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।