বুধবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ২ ১৪৩২   ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

‘উচ্চতা’বাড়াতে করণীয়

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:১৯ এএম, ৯ মার্চ ২০১৯ শনিবার

‘উচ্চতা বংশগত একটি বিষয়’ অর্থাৎ উচ্চতা কম বেশি হওয়ার পেছনের কারণ শুধুমাত্র জেনেটিক! কিন্তু কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়। মানুষের দেহের উচ্চতা কম বেশি হওয়ার পেছনে জেনেটিক্যাল কিছু ব্যাপার বাদেও কাজ করে আরো নানা বিষয়। গবেষণায় দেখা যায় উচ্চতার উপর প্রায় ২০ শতাংশ প্রভাব থাকে পরিবেশ, খাদ্যাভাস ও দৈনন্দিন কার্যকলাপ। অনেকেই নিজের উচ্চতা নিয়ে বেশ হীনমন্যতায় ভুগে থাকেন। কিন্তু গবেষকগণ বলেন, ২১ বছর বয়স পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সহজেই বাড়ানো যাবে দেহের উচ্চতা। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক দেহের উচ্চতা বাড়াতে করণীয় কাজগুলো- 

 

নিয়মিত ব্যায়াম এবং খেলাধুলা 
সাতার, আরোবিক্স, টেনিস, ক্রিকেট, ফুটবল, বাস্কেটবলের মতো খেলার মাধ্যমে ও হ্যাঙ্গিং, স্ট্রেচিং ধরণের ব্যায়াম দেহের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক। ছোটবেলা থেকেই যারা অনেক বেশি খেলাধুলা করে থাকে তাদের উচ্চতা অন্যান্যদের তুলনায় একটু বেশি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কারণ যারা অনেক বেশি খেলাধুলা এবং ব্যায়াম করেন তারা স্বভাবতই একটু বেশি এবং পুষ্টিকর খাবার খান। যা উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

যোগব্যায়াম
যোগব্যায়াম দেহে ঘুমের সময় যে গ্রোথ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায় তা উৎপন্ন করে এবং আমাদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ট্রাইঅ্যাঙ্গেল পোজ, কোবরা পোজ, মাউন্টেইন পোজ, প্লিজেন্ট পোজ, ট্রি পোজ ইত্যাদি ধরণের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়ক। তাই উচ্চতা বৃদ্ধিতে যোগব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

 

দেহের সঠিক অঙ্গবিন্যাস
হাঁটাচলা করা এবং বসার সময় সঠিকভাবে ঘাড় ও মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাঁটা ও বসা এবং শোয়ার সময় ঘাড় বেশি বাঁকা না করে মেরুদণ্ডের প্রায় সমান্তরালে রাখার মতো অঙ্গবিন্যাসও উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।

সুষম খাদ্যাভাস
সুষম খাবার নিয়মিত খাবার চেষ্টা করুন। উচ্চতা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে সহায়ক হলো সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস। পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার দেহের হাড় ও কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি দেহে গ্রোথ হরমোন উৎপন্ন করে, ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন এবং হাড় মজবুত করে, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং কার্বোহাইড্রেট কোষ গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও খাবার হজম এবং পুরো দেহে পুষ্টি পৌঁছানোর ব্যাপারটিও উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।  

পরিমিত ঘুম ও বিশ্রাম
ঘুমের সময় দেহ গঠনের টিস্যুগুলো কাজ করে। এর ফলে উচ্চতা ও শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পায়। হিউম্যান গ্রোথ হরমোন প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের দেহে উৎপন্ন হতে থাকে যখন আমরা পরিমিত পরিমাণে ঘুমাতে পারি এবং বিশ্রাম নিতে পারি। তাই বয়স অনুযায়ী ৮ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুম ও বিশ্রাম দেয়ার চেষ্টা করুন নিজেকে। প্রাকৃতিক উপায়ে এটিই সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি উচ্চতা বৃদ্ধি করার।

 

উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন
জাঙ্ক ফুড, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, অতিরিক্ত চিনি ইত্যাদি ধরণের খাবার, ধূমপান ও মদ্যপান করার অভ্যাস, রাতে না ঘুমানো ইত্যাদি আমাদের দেহে গ্রোথ হরমোন তৈরিতে বাঁধা প্রদান করে থাকে। বিশেষ করে ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস।তাই এইসকল কাজ থেকে বিরত থাকুন।