শনিবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৩ ১৪৩২   ০৭ রজব ১৪৪৭

সাফল্যের পাল তুলে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:০৩ পিএম, ৮ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার

অন্ধ সমাজের বেড়াজাল ভেঙে মেয়েরা আপন আলোয় মুক্ত ডানা মেলেছে অনেক আগেই। অফিস-আদালত, শিল্প-সাহিত্য কিংবা ক্রীড়াঙ্গন- সবখানেই এখন নারীর জয়গান। 

নারী  সবখানেই নিজের জায়গা করে নিচ্ছেন নিজ নিজ যোগ্যতা, মেধা, বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। আমাদের দেশের নারীদের সরব অবস্থান এখন কেবল পরিবারেই সীমাবদ্ধ নেই। সমাজের বিভিন্ন স্তর-প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, আনসার, ভিডিপি, বিজিবি, বিমান পরিচালনা, ট্রেন পরিচালনা, চিকিৎসা, প্রযুক্তি, শিক্ষকতা, নার্সিং, রাজনীতি- সর্বত্র নারীর বিচরণ রয়েছে। 

কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আগের তুলনায় বেড়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ৫ কোটি ৪১ লাখ কর্মজীবী মানুষের মধ্যে ১ কোটি ৬২ লাখ নারী। প্রায় ১৬ হাজার ৭০০ নারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা রয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ৮০ শতাংশের বেশি নারী। 

সুতরাং বাংলাদেশ নারীর উন্নয়ন ও অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়েছে।মানসিক হতাশা কিংবা সামাজিক কোনো বাধাই নারীদের সামনে এগিয়ে যাওয়া রুখতে পারে না। কর্মক্ষেত্রে নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও পরিবর্তন আনতে হবে।

বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমাদের সমাজে নারীর প্রতি পরিপূর্ণভাবে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠেনি। আমাদের দায়িত্ব নারীদেরকে নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া, যাতে তারা তাদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে। নারীর ক্ষমতায়ন মানেই জাতির ক্ষমতায়ন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক  ক্ষমতায়নের অগ্রদূত। নারীদের যে ক্রম উন্নয়ন ধারা বাংলাদেশে রয়েছে তা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা, উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নে কেবল বাহবাই দিচ্ছে না, এই দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবেও চিহ্নিত করছেন। 

তবে সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও সহিংসতা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা। তাই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মৌলবাদকে ‌উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেছে এদেশের নারীরা। জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতা নির্মূল করতে পারলে কেটে যাবে এ অন্ধকারের অমানিশা।