৭ মার্চের ভাষণ শুনেই মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল: দীপু মনি
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:৩৭ পিএম, ৮ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গত আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসে এমন কোনো ভাষণ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে ভাষণ শুনে সাত কোটি নিরস্ত্র মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এতই বিরল যে, পৃথিবীর আর কোনো ভাষণ এত বেশি মানুষ শোনেনি। এখনও শুধু দেশে নয়, বিদেশেও এই ভাষণ মানুষ শোনে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন অব ইউনেস্কোর আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ৫২৯টি ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারের মধ্যে মাত্র একটি ভাষণ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, আর তা হলো ৭ মার্চের ভাষণ। এই ভাষণের প্রতিটি শব্দই ছিল বাংলার মানুষের অন্তরের কথা, অনুভূতির কথা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মিজ সুনলে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন অব ইউনেস্কোর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মনজুর হোসেন।
উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কালের আবর্তে হারিয়ে যাওয়ার মধ্যেও কিছু বিষয় আছে কালজয়ী। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এ রকমই একটি ভাষণ। সোহরাব হোসাইন বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালির ২৩ বছরের চাওয়া ও বঞ্চনা প্রতিফলিত হয়েছে। মিজ সুনলে বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।
সেলিনা হোসেন বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ এমন একটি কবিতা, যে কবিতার প্রতিটি পঙ্ক্তি গবেষণার দাবি রাখে। এই ভাষণ ছিল অলিখিত, কিন্তু সুবিন্যস্ত। তিনি বলেন, জনগণের কতটা আপন হলে তুমি বলে সম্বোধন করা যায় (তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়)।
২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর প্যারিসে ইউনেস্কোর সাধারণ সভায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সংস্থার ৫২৭তম মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হয়।
