কিডনি ভালো রাখতে কিছু অভ্যাস
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:০৭ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আমরা প্রাত্যহিক জীবনে এমন কিছু কাজ করে থাকি যার প্রভাব কিডনিতে পড়ে। কিডনি ঠিক রাখা ও সুস্থ ও সবল রাখা আমাদের জন্য খুবই জরুরী।
কারণ কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া মানে আমাদের সারা জীবনে সুখ কেড়ে নেওয়া। কিডনি ভালো রাখতে আমাদের কিছু কিছু অভ্যাস ঠিক রাখতে হবে। সে অভ্যাসগুলো কি? তা জেনে নিন-
কিডনি ঠিক রাখতে প্রথমেই পানি পরিমাণ মতো খেতে হবে। কোনো কারণেই পানি খাওয়া কমিয়ে দেওয়া যাবে না। ছয় থেকে আট গ্লাস পানি খেতে হবে প্রতিদিন। পানি কম খেলে কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। যার জন্য কিডনির কর্ম ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই কিডনি ভালো রাখতে সব সময় পানি ঠিকমত খেতে হবে।
অনেকেরই বেশি লবণ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। ভাত খাওয়ার সময় আলাদা করে থালায় লবণ নিয়ে থাকেন অনেকেই। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কিডিনির জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ কিডনি কখনই অতিরিক্ত সোডিয়াম দেহ থেকে বের করে দিতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত সোডিয়াম কিডনিতে জমা থাকে। এ সোডিয়ামের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে।
অনেকেই সামান্য মাথা ব্যথা বা যে কোনো ব্যথার জন্য পেইন কিলার খেয়ে নেন। এ পেইন কিলার অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে কিডনির কোষগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত পেইন কিলার খাওয়া কিডনির জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক
আজকাল ছেলে মেয়েরা শাক সবজি বা মাছ খেতে চায় না। কিন্তু এ শাক সবজি ও মাছ কিডনির জন্য খুবই উপকারি ও প্রয়োজনীয়। ঠিক ততটাই ক্ষতিকারক হলো মাংস খাওয়া। সপ্তাহে তিন দিন বা চারদিন মাংস খেলে তা কিডনির কর্মক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। তাই মাংস অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে শাক সবজি বা মাছ বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
অনেকেই প্রসাব বেশি সময় ধরে চেপে রাখেন। কারণ অনেক সময় অনেক জায়গাতে প্রসাব করা যায় না। তাই জমে যাওয়া প্রসাব কিডনিতে প্রভাব ফেলে। অনেকক্ষণ প্রসাব না করলে কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বেশি সময় প্রসাব ধরে রাখবেন না
আজকাল নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই এলকোহল খেয়ে থাকে। কিন্তু এ এলকোহল অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এলকোলহ খেলেও খুবই অল্প পরিমাণে খেতে হবে। অতিরিক্ত এলকোহল কিডনি কর্ম ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করতে সাহায্য করে থাকে। এর ফলে সিরোসিস অফ লিভারের মতো রোগ হতে পারে।