মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২   ১৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

প্যানিক অ্যাটাক থেকে রক্ষা পাওয়ার সাত উপায়

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:০১ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার

প্যানিক ডিসঅর্ডার বা প্যানিক অ্যাটাক ব্যক্তির মনে এক ধরনের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার জন্ম দেয়। 

উদ্বেগ প্রতিরোধে ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। আবার প্যানিক অ্যাটাকের কারণে স্মৃতিশক্তিও লোপ পায়। এই অ্যাটাককে কোনোভাবেই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের থেকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। কেননা এতে শেষ পর্যন্ত হৃপিন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্যানিক অ্যাটাক প্রতিরোধের সাত উপায়।

শরীরের ক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করতে হবে:

শরীরে কোন কোন পরিবর্তন দ্রুত ঘটে যাচ্ছে, সেগুলো খেয়াল রাখুন। মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতাই বড় ধরণের সমস্যা থেকে প্রথমত আপনাকে রক্ষা করবে। প্যানিক অ্যাটাক হলে স্মৃতিশক্তি কমে আসে। এই অ্যাটাককে কোনোভাবেই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের থেকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।

শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে কি না খেয়াল করুন:

নিজেকে ভীতস্থ মনে হতে পারে। প্যানিক অ্যাটাকে শ্বাসযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে, শ্বাস গভীর বা দীর্ঘ হতে পারে।  এই রকম সমস্যা বুঝতে পারলেই, আপনাকে যা করতে হবে-তাহলো ঘন ঘন আর অগভীর নিঃশ্বাস নিতে হবে। এতে শ্বাসযন্ত্রের ব্যায়াম হয়ে যাবে। ফুসফুসের ক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে আসবে। হৃদযন্ত্রের দ্রুত উঠানামা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আর যদি প্রতিদিনের রুটিনে বায়ু সেবন অভ্যাস করতে পারেন-তাহলে খুব সহজেই শ্বাসযন্ত্র আক্রান্ত হলে আপনি নিজেই শ্বাস কৌশল স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন।

পেশী শিথিলায়নের অভ্যাস রপ্ত করুন:

মন ও শরীরে শান্তি সঞ্চারিত করার জন্য সমুদ্র সৈকতে আপনি যেতেই পারেন। কিন্তু সেতো আর সব সময় সম্ভব নয়। পেশী শিথিলায়নের অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে গুরুতর শরীরিক পরিশ্রম থেকে শরীরকে সহজে পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। প্যানিক অ্যাটাকের আভাস পেলে কিছু সময়ের জন্য পেশী শিথিলায়নের চেষ্টা করুন আরাম পাবেন।

উত্তেজিত হয়ে পড়বেন না:

যে কোনো ধরণের আক্রমণের সম্মুখীন হলে নিজেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উত্তেজিত হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন। নিরিবিলি আর অল্প অলোর একটি ঘর বা রুমে অবস্থান নিন। ঘন ঘন শ্বাস গ্রহণ করুন। আর যদি এই সময় বাইরে থাকেন, প্রথমত চেষ্টা করুন কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর দৃষ্টি নিবন্ধ রাখুন। অথবা মনে মনে কবিতার কোনো লাইন পড়তে পারেন।

একটি নোটবুক রাখুন:

একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, আপনি যেসব নেতিবাচক চিন্তা বিষয় থেকে মুক্তি চান-সেগুলো যদি নির্দিষ্ট করে খাতায় লিখে ফেলতে পারেন এবং লিখিত পৃষ্ঠাগুলো সঙ্গে সঙ্গে ছিঁড়ে ফেলে দেন-এতে মানসিক স্বস্তি দ্রুত পাওয়া সম্ভব। একইভাবে প্যানিক অ্যাটাক থেকে পরিত্রাণ পেতে-প্রথমত কী কী সমস্যার মুখোমুখী হচ্ছেন, সেগুলো খাতায় লিখে ফেলতে পারেন। তারপর লিখিত পৃষ্ঠাটি ছিঁড়ে ফেলে দিতে পারেন। 

অস্বাভাবিক বোধ করলে কফি খাবেন না:

কফি ভালোলাগে কিন্তু ক্যাফেইন নিয়ে ভীতি থাকলে সকাল সকাল কফি পান না করাই ভালো। অনেক মানুষের ভিড়, একেবারে বদ্ধ জায়গাতে খুব বেশি সময় অবস্থান না করা ভালো। অফিসে প্রতিদিন নতুন কোনো প্রাপ্তির দিকে লক্ষ্য রাখুন। ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন। অফিসের প্রতি ভালোলাগা তৈরি করতে পারলে আপনার জন্যই ভালো। কেননা, দিনের বেশিরভাগ সময় অফিসে থাকতে হয়। এই সময় যদি উপভোগ করতে পারেন তাহলে হতাশা আপনাকে গ্রাস করবে না। আর প্যানিক অ্যাটাকের আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যাবে।

অডিও অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করুন:

একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, গান বাইরের চিন্তা থেকে সুরক্ষা দেয়। সাধারণত, যানবাহনে অবস্থানকালীন মনের এক ধরণের ভয় থাকে। যদি যানবাহনে গান বা অডিও চালানো থাকে যাত্রীদের উদ্বেগের উচ্চমাত্রা কমে যায়।
 
অডিও মিউজিক বা গান আপনার মনকে একটি জায়গায় নিয়োজিত করতে পারে। সুতরাং প্যানিক অ্যাটাক অনুভব হলে অডিও মিউজিক শুনতে পারেন।