বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১   ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কম্বোডিয়ার পথে জাতীয় ফুটবল দল

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার

কাঁটায় কাঁটায় ৫ মাস। ব্যবধানটা আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের দুই ম্যাচের। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিল গত বছর ১০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে। পরেরটা ৯ মার্চ নমপেনে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি। এর আগে কয়েক দফা চেষ্টা করেও প্রতিপক্ষ পায়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। অবশেষে জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে’র প্রেসক্রিপশন অনুযয়ায়ী ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা।

 

বাংলাদেশ কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে এমন এক সময় ম্যাচটি খেলছে যখন দরজায় কড়া নাড়ছে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব। কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার পরই বাহরাইনের ওই বাছাই পর্বের প্রস্তুতিতে নামতে হবে জেমিকে। যে কারণে কোচের জাতীয় দলে আছে তারুণ্যের প্রাধান্য। যে ২৩ ফুটবল নিয়ে বুধবার দুপুরে কম্বোডিয়ার পথে উড়াল দিয়েছেন জেমি সেখানে ১১ জনই আছেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রাথমিক দলে।

 

কম্বোডিয়া যাওয়ার আগে কোচ জেমি ডে তাই বাহরাইনের টুর্নামেন্টের জন্য কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে তার বেশি নজর থাকবে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা, বিশ্বনাথ ঘোষ, রহমত মিয়া, সুশান্ত ত্রিপুরা, মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ, মাসুক মিয়া জনি, ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া, মাহবুবুর রহমান সুফিল ও ইব্রাহিমের দিকে। এই ১১ জনকে তিনি যে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জন্যও পরখ করবেন।

কম্বোডিয়া থেকে ফিরে ঢাকায় ৮-১০ ঘন্টার বিশ্রাম নেবেন ফুটবলাররা। সিনিয়ররা ঘরে ফিরে যাবেন। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ২৭ জন নিয়ে কাতারের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবেন কোচ। সেখানে ১০ দিনের বিশেষ ক্যাম্প করবেন। অনুশীলনের পাশপাশি গোটাদুয়েক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে দল চূড়ান্ত করবেন কোচ।

বুধবার দুপুরে কম্বোডিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা জাতীয় ফুটবল দলের নমপেন পৌছানোর কথা স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায়। ৯ মার্চ ম্যাচ খেলে ১১ মার্চ ঢাকায় ফিরবে জামাল ভুঁইয়ারা।

কম্বোডিয়াগামী ২৩ ফুটবলার

গোলরক্ষক: আশরাফুল ইসলাম রানা, শহীদুল আলম সোহেল ও আনিসুর রহমান জিকো।

রক্ষণভাগ: তপু বর্মণ, টুটুল হোসেন বাদশা, সুশান্ত ত্রিপুরা, বিশ্বনাথ ঘোষ, ইয়াসিন খান, রহমত মিয়া ও মনজুরুর রহমান মানিক।

মধ্যমাঠ: আতিকুর রহমান ফাহাদ, জামাল ভুঁইয়া, রবিউল হাসান, মাসুক মিয়া জনি, মো. সোহেল রানা, ইমন মাহমুদ বাবু ও বিপলু আহমেদ।

আক্রমণভাগ: নাবিব নেওয়াজ জীবন, রুবেল মিয়া, মাহবুবুর রহমান সুফিল, মতিন মিয়া, তৌহিদুল আলম সবুজ ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম।