শনিবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৩ ১৪৩২   ০৭ রজব ১৪৪৭

সেন্টমার্টিনে তিন হাজার পর্যটক আটকা

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৪:২৭ পিএম, ৬ মার্চ ২০১৯ বুধবার

বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে বুধবার সকাল থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে বেড়াতে গিয়ে তিন হাজার পর্যটক আটকা পড়েছে।

বুধবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা এসে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাটে ভিড় করেন। তবে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটক কক্সবাজার চলে যাচ্ছেন।

পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম ও এলসিটি কাজলের ব্যবস্থাপক মনির আহমদ বলেন, সর্তক সংকেতের কারণে বুধবার কোনো জাহাজ টেকনাফ থেকে ছেড়ে যেতে পারেনি। ফলে গত সোমবার ও মঙ্গলবার সেন্টমার্টিনে বেড়াতে এসে দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ায় আটকা পড়েছেন পর্যটকরা। সংকেত কেটে গেলে টেকনাফ থেকে জাহাজ গিয়ে তাদের ফেরত আনা হবে।

 

কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, বজ্রমেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধির কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজারের ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ কারণে বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদী উত্তাল আছে এবং মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবারও এ সর্তক সংকেত বলবৎ থাকতে পারে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরিদর্শক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আবহাওয়ার সর্তক সংকেত পাওয়ার পর জাহাজ কর্তৃপক্ষকে পযটক পরিবহন না করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসাইন বলেন, সেন্টমার্টিনে বেড়াতে এসেছিলাম। হঠাৎ করে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত দেয়ায় আটকে পড়েছি। শুধু আমি নয় দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে বেড়াতে এসে অনেকে আটকা পড়েছেন। 

বুধবার ভোর রাত থেকে সেন্টমার্টিনে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হওয়াই অধিকাংশ পর্যটকরা হোটেল-মোটেল ও কটেজ থেকে বের হচ্ছেন না।

 

সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সেকান্দর আলী বলেন, আটকে পড়া পর্যটকেরা দ্বীপের ১০৬টি হোটেল-মোটেল ও কটেজে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকরা ফিরতে পারবেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান বলেন, সেন্টমার্টিনে বেড়াতে এসে রাত্রি যাপন করা প্রায় তিন হাজারের মতো পর্যটক আটকা পড়েছেন। আজো কোনো জাহাজ টেকনাফ থেকে ছেড়ে যেতে পারিনি। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এ নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, যারা দ্বীপে আছেন তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার জন্য বলা হচ্ছে এবং ভাটার সময় কোনো পর্যটক যাতে সৈকতের পানিতে গোসল করতে না নামেন সে ব্যাপারে প্রচারণা চালানোর জন্য স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।