বৃহস্পতিবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ২ ১৪৩২   ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

দৈনিক ৯ ঘণ্টা কাজ! বাড়াবে নারীর ‘ডিপ্রেশন’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার

কর্মজীবী নারীদের আবার বিশ্রাম! কথাটি হয়তো সত্যিই। ঘরে বাইরে দুই জায়গায় সামলাতে হয় তাদের। শুধু ৯ ঘণ্টা নয় বরং সারাদিন রাত মিলিয়েই নারীরা ব্যস্ত থাকেন। তবে নারীরা সাবধান! প্রতিদিন যদি আপনি ৯ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেন? তবে আপনার ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার সমস্ত আশঙ্কাই বিদ্যমান। এই ঝুঁকি থেকে অবশ্য বেঁচে গিয়েছেন পুরুষরা। এমনই জানা গিয়েছে সম্প্রতি এক গবেষণায়। এক সপ্তাহে ৫৫ ঘন্টার বেশি সময় ধরে কাজ করেন এমন নারীরা সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৪০ ঘণ্টা কাজ করেন এমন নারীদের তুলনায় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত। তবে ওই গবেষণায় পুরুষদের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়নি বলেই প্রমাণিত।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের পোষ্ট ডক্টরাল ছাত্র ও মুখ্য গবেষক গিল ওয়েস্টন এনডিটিভিকে বলেন, “এটি একটি পর্যবেক্ষণমূলক অধ্যয়ন। যদিও আমরা সঠিক কারণগুলো এখনই প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। তবে অনেক নারীকে পুরুষের তুলনায় গৃহস্থলির কাজে বৃহত্তর অংশগ্রহণ করতে হয়, যা মোট সময়সীমা বাড়ায়। ফলে একইভাবে চাপ এবং অতিরিক্ত দায়বদ্ধতাও বেড়ে যায়।” 

কিছু দিনের জন্য মন খারাপ আমাদের প্রায়ই হয় যখন আমরা চাকরি খোয়ানো কিংবা ভালোবাসার মানুষটিকে হারানো ইত্যাদি বিষয়ক মন খারাপ এবং অবসাদ বা ডিপ্রেশন কিন্তু এক জিনিস নয়। ওয়েস্টন আরো বলেন, “উপরন্তু, সপ্তাহান্তে কাজ করেন এমন বেশিরভাগ মহিলারাই কম বেতনের চাকরি করেন যা হতাশা বাড়িয়ে তুলতে বেশ কয়েকগুণ অবদান রাখে।” ‘জার্নাল অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথে’ প্রকাশিত এই গবেষণায় মোট ১১ হাজার ২১৫ জন কর্মরত পুরুষ এবং ১২ হাজার ১৮৮ জন কর্মরতা মহিলার উপর কাজ করা হয়।

 

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সপ্তাহান্তে কাজ করেন এমন পুরুষ (৩ দশমিক ৪ শতাংশ) এবং মহিলা (৪ দশমিক ৬ শতাংশ) উভয়ের মধ্যেই ডিপ্রেশনে আক্রন্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি ছিল। ওই মহিলাদের অর্ধেক সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ পুরুষ সপ্তাহান্তে কাজ করতেন বলে দেখা গিয়েছে। যারা সমস্ত বা সর্বাধিক সপ্তাহান্তে কাজ করতেন, দেখা গিয়েছে তারা সাধারণত কম দক্ষতার চাকরি করতেন এবং তাদের বেতন নিয়েও তারা সন্তুষ্ট নন। এই সংখ্যাটা যারা কেবল সপ্তাহে বা কয়েকটা মাত্র সপ্তাহান্তে কাজ করেছেন তাদের তুলনায় বেশিই। 

ওয়েস্টন বলেন, “আমরা আশা করি কাজের ফলাফলগুলেঅ কর্মক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা এবং নীতিনির্ধারকরা বুঝবেন। তারা বুঝবেন কীভাবে কাজের বোঝা কমানো যায় এবং দীর্ঘক্ষণ বা অনিয়মিত ঘন্টার কাজ করেন এমন নারীদের জন্য সমর্থন বাড়াবেন।” পুরুষ এবং নারীদের জন্য কাজের পরিবেশ আরো সহানুভূতিশীল করে তোলার পরামর্শও দেন তিনি।