সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১   ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ডায়েট পানিয়র নাম করে কী খাচ্ছেন, জানেন তো?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৩৫ এএম, ৩ মার্চ ২০১৯ রোববার

নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আমরা কতো কিছুই না করে থাকি। তাই আজকাল ডায়েটের নাম করে খুব ডায়েট পানিয় খেয়ে থাকি। তাছাড়া ওবেসিটি থেকে বাঁচতে বা ওজন বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে ঠাণ্ডা পানীয় বাদ দিয়েছেন বটে, তবে প্রাণে ধরে ছেড়ে দিতেও পারেননি। বরং ঠাণ্ডা পানীয়র জায়গায় বেছে নিয়েছেন ডায়েট পানীয়। ভাবছেন, এতেই বোধ হয় সমস্যার অনেকটা কাটিয়ে ওঠা গেল ঠাণ্ডা পানীয়র যে ক্ষতি তা থেকে বাঁচল শরীর।

 

তবে চিকিৎসাবিজ্ঞান বা গবেষণার কথা শুনলে কিন্তু নিশ্চিন্ত হওয়ার বদলে কপালে চিন্তার ভাঁজই বাড়বে। নিউ ইয়র্কের আলবার্ট আইনস্টাইন কলেজঅব মেডিসিনের একদল গবেষকের মতে, প্রতি দিনের ডায়েট পানীয় খাওয়ার অভ্যাস হৃদরোগের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে ৩৩ শতাংশ। স্ট্রোকের সমস্যা বাড়ে প্রায় ২৫ শতাংশ।

এই ধরনের কোকে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে বলে অনেকেই ওজন কমানোর হাতিয়ার করে একে। কিন্তু এর অ্যাডেড সুগার শরীরের অত্যন্ত ক্ষতি করে। এতে থাকা অ্যাসপার্টেম কৃত্রিম চিনির থেকেও ক্ষতিকর।

অ্যাসপার্টেম থেকে তৈরি হওয়া শর্করা তাড়াতাড়ি গলে যায় ঠিকই কিন্তু কৃত্রিম চিনিতে এর পরিমাণ এতই বেশি করে দেওয়া থাকে যে ক্ষতি আটকানো যায় না। তা থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে কিডনির অসুখ। বাড়তে পারে ডায়াবিটিসের সমস্যা। এমনকি ক্যানসারও।

‘প্রায় ৮২ হাজার মানুষের উপর গবেষণা করে দেখা গিয়েছে ওজনে হ্রাস টানতে সাধারণ ঠাণ্ডা পানীয় ছেড়ে ডায়েট পানীয়ে আস্থা রাখলে তাতে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। দিনে দুই বা তার বেশি ডায়েট কোক খেলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পায়।’

এই ডায়েট পানীয়কে সংরক্ষণের উদ্দেশে প্রিজারভেটিভ যোগ করা থাকে। ফলে ক্ষতির বহর বাড়ে বই কমে না। এই সব ক্ষতিকর উপাদান থেকে অ্যালঝাইমার্সের মতো অসুখও হানা দিতে পারে। ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-ও এই গবেষণার সঙ্গে একমত। তাদের মতেও ডায়েট কোক বা অন্যান্য ঠান্ডা পানীয় একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বরং তার বদলে লেবু-জল খাওয়া উচিত।