বুধবার   ১৪ মে ২০২৫   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২   ১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

শরীরের যেসব অংশ স্পর্শে ছড়াবে ব্যকটেরিয়া

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ২ মার্চ ২০১৯ শনিবার

হাতে রয়েছে বিশেষ তেল। তাই, হাত দিয়ে কোনো কিছু স্পর্শ করার পূর্বে অন্তত সাতবার ভাবুন। কারণ হাতে লেগে থাকা ছত্রাকগুলো সহজেই আপনার শরীরে প্রবেশ করার ক্ষমতা রাখে। অথচ আমরা যখন তখন হাত দিয়ে চোখ, কান, নাকের মতো সংবেদনশীল অংশগুলো স্পর্শ করে থাকি। নিজের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গে হাত দেব তাতে কী? সেই উত্তর খুঁজে নিতে বিশেষজ্ঞদের মতামত জেনে নিন- 

মুখের ব্রণ 
মুখের ব্রণ স্পর্শ না করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন মাইক্রোবায়োলজিস্ট ম্যাথিউ লি-এর মতে, হাতে রয়েছে বিশেষ ধরণের তেল। এই হাতে মুখের ব্রণ স্পর্শ করা হলে সহজেই ছত্রাকগুলো আরো বেশি ছড়িযে যেতে পারে। আঙ্গুলের ছোঁয়া ব্রণের প্রভাব আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে’।

চোখ 
শরীরের অন্যতম সংবেদশীল এই অংশটি সময়ে-অসময়ে স্পর্শ করা যাবে না। হ্যাঁ, এমনটা অনেক সময় হয় যে, চোখের কোণে ময়লা জমা হয়। আবার হঠাৎ করে চোখে কিছু একটা ঢুকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বের করে আনার প্রয়োজন হয়। এই রকম পরিস্থিতিতে হাত খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। চোখ ঘঁষে নেয়ার অভ্যাস যদি থাকে, তাহলে সেই অভ্যাস ছাড়তে হবে। 

 

কান
কান পরিষ্কার করার জন্য মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে, ভেতর থেকে ময়লা বের করে আনার চেষ্টা করা যাবে না। এতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। কারণ শরীরের এই অংশটি সংবেদনশীল আর ক্ষতিপ্রবণ। অনেক সময় আমরা কানের ছিদ্র বার বার স্পর্শ করি, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

নাক
নাকে বড় বড় ব্যাকটেরিয়া দানা বাঁধে। হাত দিয়ে স্পর্শ করা মাত্র সেগুলো দ্রুত নাকের চারপাশে ছড়িয়ে যায়। এই ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে শরীরর অন্য ব্যাকটেরিয়ারর সংযোগ ঘটে। এই সংযোগ থেকে তৈরি হয় অ্যালার্জি রোগ। বিশেষ করে শীতে অ্যালার্জি আরো দ্রুত ছড়ায়।

মুখ
একজন মানুষের মুখে ৩৪ থেকে ৭২ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বসবাস। এগুলোর অধিকাংশই ক্ষতিকর। তবে কিছু ব্যাকটেরিয়া শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু এই উপকারি ব্যাকটেরিয়াগুলো যখন হাতের স্পর্শের মাধ্যমে অন্য ব্যাকটেরিয়াগুলোর সঙ্গে মিলে যেতে পারে সেগুলো সহজেই অসুস্থ করে তুলতে পারে। এতে মুখের কোমলতাও উধাও হয়ে যায়। 

 

মলদ্বার
বাথরুম ব্যবহারের পর, হাতের বিকল্প কোনো কিছু দিয়ে মলদ্বার পরিস্কারের পরামর্শ দেন মাইক্রোবায়োলজি গবেষকরা। গবেষক গ্লেননার রিচার্ডসনের মতে, স্পর্শ করার মাধ্যমে মলদ্বারের গ্যাস্টেইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট সহজে পরোক্ষভাবে মুখ বা চোখে ছড়িয়ে যেতে পারে। কেননা, হাত সচারচর মুখ, চোখ স্পর্শ করে থাকে।

নাভি
পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স-অনুসারে ‘শরীরের সবচেয়ে গভীর অংশ হলো নাভি। আর এই নাভিই  ব্যাকটেরিয়াদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল। ডা.রিচার্ডসন সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, ‘নাভিতে স্পর্শ করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে’।

নখ
হাত ও পায়ের নখে ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া অবিশ্বাস্য পরিমাণে জমা থাকে। বিবিসির তথ্যানুসারে, পরিশ্রমী হাত ধৌত করার পরও সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত হয় না। ডাক্তার এবং নার্স হাতে গ্লাভস পরেন। এতে জীবাণুছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। যে কাজগুলোতে জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি সেগুলো করার পূর্বে হাতে গ্লাভস পরে নিজের এবং অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেতে পারে।