কফি কেন খাবেন?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:১৫ পিএম, ২ মার্চ ২০১৯ শনিবার

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এনার্জি টনিক বা এনার্জি ড্রিংক হলো চা বা কফি। চা আমরা সব সময় খেয়ে থাকি। কিন্তু কফি সাধারণত শীতকালে বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়ে থাকে।
কফিও মানুষ এখন প্রায় সব সময় খেয়ে থাকেন। কিন্তু চা ও কফির মধ্যে কোনটি বেশি উপকারি এ নিয়ে অনেক তর্ক রয়েছে। এসব তর্কে না গিয়ে কফির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-
কফি হলো অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। ২০০৫ সালের পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে জানা যায় যে, কফির মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট অন্য কোনো কিছুতেই নেই। যদিও ফলমূল ও শাক সবজিতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটা মানব দেহে কফির থেকে অধিক পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শোষণ করে থাকে। তাই নিয়মিত ভাবে কফি খেতেই পারেন।
কফি ডায়বেটিসের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে। আমেরিকান ক্যামিকাল সোসাইটির মতে, কফি টাইপ ২ ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে সাহায্য করে থাকে। যারা প্রতিদিন চার কাপ বা বেশি বা তার থেকেও বেশি পরিমাণে কফি খান তাদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়বেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম থাকে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, কফির অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ক্লোরোজেনিক এসিড এবং কুইনাইটস কোষের সংবেদনশীতা কমিয়ে ইনসুলিনের গঠনে সাহায্য করে। যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি উপকারি। এভাবে কফি ডায়বেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কফি খেতেই পারেন।
পার্কেন সস রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে কফি। এ রোগে আক্রন্ত রোগীরা কফি খেলে তাদের চলাফেরা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। সুইডনে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যদিও পার্কেন সস রোগটি বংশগত তবুও কফি খেলে এ রোগের সম্ভাবনা অনেকটা কমে আসবে।
কফি ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে সাহায্য করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, নারী অথবা পুরুষ যারা দিনে ৩-৪ বার কফি পান করেন তাদের ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে গেছে। আয়ু বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কফি। একটি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যে, যেসব মহিলারা কফি খান তাদের ক্যান্সার বা হার্টের সমস্যা অনেকটাই কম হয়। এভাবেই কফি আয়ু বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।
মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতিসাধন হতে রক্ষা করে কফি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কফির অ্যান্টি আক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষের ধ্বংস হওয়া রোধ করে এবং নিউরোট্রান্সমিটের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রাথমিক একটি পরীক্ষণে এটা পাওয়া গেছে যে, কফি ডিউমা নামক এক ধরণের মস্তিষ্ক ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। কফি ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে। এভাবে কফি মস্তিষ্ককে সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ কফি খেলে এ ধরণের কোনো সমস্যাই আর থাকবে না। তবে কোনো কিছু অতিরিক্ত ভালো নয়। তাই কফি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু পরিমাণ মতো কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি।