স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় এলে মুক্তিযোদ্ধাদের না খেয়ে মরতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৭:০১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ঢাকা মহানগরীর আহবায়ক আলহাজ আমজাদ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রার্থীদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে তাদের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশ থেকে জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ এবং পাকিস্তানী দোসরদের বিতারিত করতে হবে। দেশকে অসাম্প্রয়িক রাষ্ট্র বানাতে বিএনপি-জামায়াত জোটকে আস্তাকুড়ে ফেলতে হবে। এ জন্য মা-বোন ভাইদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে যেন তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারিদের স্বপক্ষে কাজ করতে পারে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে ‘বিজয় মাসে নির্বাচন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয়ে আমাদের করণীয় শীর্ষিক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আমজাদ হোসেন বলেন, যাদের আত্মদানে আজ আমরা এই লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি তাদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে। তাদের শ্রদ্ধার সাথে উপযুক্ত স্থানে বসাতে হবে। তাই নৌকা প্রতীক সবার প্রতীক হোক এ ব্যবস্থা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের নেতা-কর্মীরা সর্বত্র ছড়িয়ে দেবে। তিনি বলেন, দেশে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক ডিপুটি স্পিকার কর্ণেল (অব) শওকত আলী এমপি। আর বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, নোয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আতিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ভাইস চেয়ারমান মাজেদা শওকত আলী, সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. নীম চন্দ্র ভোমিক, মেজর (অব) জোউল করিম রেজা, গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, যুগ্ম মহাসচিব হাসান উজ জামান ও কাজী রফিকুল ইসলাম, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ৭১ এর প্রেতাত্মারা দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আপ্রাণ অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই প্রেতাত্মাদের নিশ্চিহৃ করে দেশকে মৌলবাদ জঙ্গীবাদ মুক্ত করতে হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে এবং প্রেতাত্মাদের বিরুদ্ধে ভোটের সীল মারতে হবে। নির্বাচনে কোন কারণে আওয়ামী লীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা হেরে গেলে সংখ্যালঘুসহ নৃ-গোষ্ঠির লোকজনকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের মরতে হবে খেয়ে না খেয়ে। থাকবে না মুক্তিযুদ্ধের কোন নাম নিশানা। অস্তিত্ব থাকবে না দেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী মানুষদের। তাই সকলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় নৌকাকে জয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে সবাইকে রক্ষা করতে হবে।
স্বাধীনতা বিরোধীদের কোন রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া উচিৎ নয় মন্তব্য করে তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীর যে সব প্রেতাত্মারা রয়েছে তাদের পাঁচ প্রজন্ম যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এলে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে। তাই আগামী নির্বাচনে আমাদের সবটুকু শক্তি প্রয়োগ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লোকদের সংসদে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
