বৃহস্পতিবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৩ ১৪৩২   ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

এ পর্যন্ত বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দ্বৈরথ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বৃহস্পতিবার থেকে হ্যামিলটনে শুরু হচ্ছে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায়।

এ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের মাটি বাংলাদেশের জন্য রহস্যই থেকে গেলো। এর আগে চারবার দেশটিতে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। চার সিরিজে ৭টি টেস্ট খেলে হেরেছে সবকটি। সব মিলিয়ে ১৩ টেস্টে ১০টি হার, ৩টিতে ড্র করেছে বাংলাদেশের।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ তাদের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর করেছে তাদের মাটিতেই। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটন টেস্টে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল তারা। কিউইদের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে কম। 

হ্যামিল্টনে ২০১০ সালে ৭ উইকেটে ৫৫৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল নিউজিল্যান্ড। এটাই বাংলাদেশের বিপক্ষে কিউইদের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলীয় সর্বনিম্ন স্কোরটি হচ্ছে ১০৮ রান। ২০০১ সালে হ্যামিল্টনে করেছিল তা। অন্যদিকে টাইগারদের বিপক্ষে ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ১৭১ রানে অল আউট হয় নিউজিল্যান্ড। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর।

কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৬৩ রান করেছেন সাকিব আল হাসান। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে কিউইদের হয়ে সবেচেয় বেশি রান ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ৫৫৮ রান।

দুই দলের দ্বৈরথে বল হাতেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অল রাউন্ডারের ঝুলিতে আছে কিউইদের ২৬ উইকেট। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশি উইকেট পাওয়া কিউই বোলার ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। নিউজিল্যান্ডের এই সাবকে অধিনায়ক নিয়েছেন ৫১ উইকেট।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটিও খেলেছেন ইনজুরিতে পড়ে দলের বাইরে থাকা সাকিব। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে তার ২১৭ রানের ইনিংসটি টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে কিউইদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটি স্টিভেন ফ্লেমিংয়ের। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ২০২ রানের একটি ইনিংস খেলেন তিনি।

সেরা বোলিংয়েও ঘুরেফিরে সেই সাকিবই। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টির অধিনায়ক ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে ৩৬ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। বিপরীতে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলিং ফিগারটি ৫৩ রানে ৭ উইকেট। ২০০১ সালে হ্যামিল্টনে এ কীর্তি গড়েছিলেন ক্রিস কেয়ার্নস।