শ্যামপুর-টঙ্গীতে সরছে রাসায়নিক কারখানা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার
পুরান ঢাকার বিভিন্ন ভবনে থাকা কেমিক্যাল গোডাউন অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য নগরীর শ্যামপুর ও টঙ্গিতে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
কদমতলী থানার শ্যামপুর মৌজায় বিসিআইসির উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি এবং ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে টঙ্গির কাঠালদিয়া মৌজায় বিএসইসির খালি জায়গায় কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে দুটি স্থান মিলিয়ে ১২ দশমিক ১৭ একর জমির ওপর ৪ লাখ বর্গফুট আয়তনের স্টিল সেড নির্মাণ করে করা হবে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে চকবাজারে আগুনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ভবনে থাকা দাহ্য কেমিক্যাল নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর/সংরক্ষণে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য জায়গা নির্ধারণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে সভায় শিল্প, ভূমি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, কৃষি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, বিসিআইসি, বিএসইসি, বিএডিসি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি এবং কেমিক্যাল ও প্লাস্টিক সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ব্যবসায়ী নেতাদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে কেমিক্যাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ নির্ধারণ করে লিখিতভাবে শিল্প মন্ত্রণালয়কে জানানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
কেমিক্যাল ও এসিড ব্যবসায়ীরা বলেন, চকবাজারে আগুনের পর কেমিক্যাল ইস্যুতে স্থানীয়ভাবে এক ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বেকার হয়ে যেতে পারে পুরান ঢাকার প্রায় ২৫ লাখ ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের ভীতি দূর করতে সরকারের সহায়তা চান তারা। সাময়িকভাবে টঙ্গিতে নির্ধারিত জায়গায় এসিড ও শ্যামপুরের কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর বিষয়ে একমত পোষণ করেন ব্যবসায়ীরা।
শিল্প সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা থেকে নিরাপদ দূরুত্বে গোডাউন স্থানান্তরের বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এগুলো স্থানান্তরে ব্যবসায়ীদের জায়গা করে দেয়া হবে। জননিরাপত্তার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য এসিড ও কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর/সংরক্ষণের জন্য দুটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। আরো জায়গা প্রয়োজন হলে শিল্প মন্ত্রণালয় তারও ব্যবস্থা করবে।
সচিব বলেন, টঙ্গি ও কদমতলীতে সরকারের খরচেই স্টিল স্ট্রাকচার নির্মাণ করা হবে। তবে ব্যবসায়ীরা সেখানে যৌক্তিক ভাড়ায় কেমিক্যাল সংরক্ষণ করবেন। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমপ্লায়েন্ট মেনে এ বিষয়ে কারিগরি প্রস্তাব প্রণয়নের জন্য বিএসইসি এবং বিসিআইসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জাতীয় জরুরি প্রয়োজনে এরপরই দ্রুত সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। একই সঙ্গে এ লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
