সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১   ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

অবশেষে জুলিয়েটের দেখা পেলো রোমিও

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:০৮ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার

টানা দশ বছর একা ছিল ব্যাঙটি। বিজ্ঞানীরা এর নাম দেন রোমিও। মনে করা হতো, বিশ্বে সেহুয়েনকাস প্রজাতির একমাত্র জীবিত ব্যাঙ এটি। ফলে রোমিওকে রাখা হয়েছিল বলিভিয়ার আলকাইড ডি’অরবিনি ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম নামের জাদুঘরে।

 

একা থাকা যেকারও জন্যই কষ্টের। ব্যাঙয়ের ক্ষেত্রেও হয়তো এরকমই। অবশেষে বিজ্ঞানীরা এই প্রাণীর কষ্ট বুঝেছেন। এজন্য তাকে দেয়া হচ্ছে সঙ্গী।

 

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোমিওর জন্য জুলিয়েটের ব্যবস্থা করছেন বিজ্ঞানীরা। দ্রুতই তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পরিবর্তন হবে।

 

বিজ্ঞানীরা ওই একা ব্যাঙয়ের জন্য খুব কষ্ট করে সঙ্গী যোগাড় করেছেন। এ ধরনের ব্যাঙ পানির নিচে থাকে। ফলে রোমিওর সঙ্গী খুঁজতে সমুদ্রের নিচে অনেক খোঁজা-খুঁজি করতে হয়েছে গবেষকদের।

 

এ সম্পর্কে কামাচকো নামের এক গবেষক বলেন, আমরা খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত এবং বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলাম। তারপরও ভেবেছি আরেকটু খুঁজে দেখা যাক এ প্রজাতির ব্যাঙ পাওয়া যায় কীনা। তখন একটি ব্যাঙ পাই যা এই প্রজাতির নয়। কিন্তু ভিন্ন প্রজাতির ওই ব্যাঙটিকে অনুসরণ করে একটি স্থানে গিয়ে আমরা নির্ধারিত প্রজাতিটি পেয়ে যাই। তাতেও অবশ্য কাজ হয়নি। কারণ সেটা ছিল পুরুষ।

 

তিনি আরও বলেন, পরদিন আমরা আবার সেখানে যাই এবং চারটি ব্যাঙ পাই যেখানে দুটি পুরুষ এবং দুটি নারী ব্যাঙ ছিল। দুটি নারী ব্যাঙের মধ্যে একটিকে আমাদের উপযুক্ত মনে হয়েছে এবং এটির নাম দেয়া হয়েছে জুলিয়েট। অন্য ব্যাঙটি অল্পবয়স্ক। এখনও তার প্রজনন ক্ষমতা তৈরি হয়নি।

 

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, সেহুয়েনকাস প্রজাতির বিলুপ্তিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে রোমিও-জুলিয়েট। এখন তারা একজন-আরেকজনের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করলেই হয়তো প্রজাতিটির বিলুপ্তি রোধ হবে।