রোববার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৩ ১৪৩২   ০৮ রজব ১৪৪৭

মরদেহ শনাক্তে স্বজনদের রক্ত-টিস্যু সংগ্রহ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৫৩ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পোড়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত সময় সাপেক্ষ। স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও স্যামপ্লিং সহজে করা গেলেও নিহতের মরদেহের সঙ্গে ক্রসম্যাচ করা কঠিন। এসব পরীক্ষা ৬ মাস থেকে এক বছরের বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সিআইডি’র ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যানালাইসিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন।

শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে বুথ বসায় সিআইডি’র ফরেনসিক বিভাগ। দুপুর ৩টা পর্যন্ত ১৫টি মরদেহের দাবিদার ২০ স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার আগুনে পুড়ে যাওয়া ৬৭ জনের মধ্যে ৪৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসক। বাকি ২১ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ১৫ জনের স্বজনরা আবেদন করেছেন।

 

তাদের মধ্যে ২০ স্বজনের রক্ত-টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগ।

এ ব্যাপারে সিআইডি’র ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যানালাইসিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, স্বজনদের কাছ থেকে যে নমুনা নেয়া হয়েছে, তা পরীক্ষায় খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তবে ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধ মরদেহের যেসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা সময় সাপেক্ষ। একেকটা আলামতের উপর তা নির্ভর করছে। একেকটার জন্য একেক ধরণের সময় ব্যয় করতে হবে। সেক্ষেত্রে অপেক্ষায় থাকা ছাড়া উপায় নেই।

তিনি বলেন, নমুনা হিসেবে রক্ত ও মুখের ভেতর থেকে বাক্কাল কোষ সংগ্রহ করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির বাবা মা, সন্তান হলে ভাল হয়। ছেলে হলে তার বাবা-মা, বাবা-মা হলে তাদের সন্তান অর্থাৎ রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়দের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর আগামীকাল শনিবারও খোলা থাকতে পারে, তবে সেটা উর্দ্ধতনদের নির্দেশনার উপর নির্ভর করছে। বাকিদের কেউ যদি আজকের পর আসেন, তারা মালিবাগের সিআইডি’র ফরেনসিক ল্যাবে যোগাযোগ করতে পারবেন।

 

বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চকবাজারের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয়রা জানান। পরে তা পাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন। তবে ঢাকা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে ৬৭ জন। আর ফায়ার সার্ভিস দাবি করে তারা প্রায় ৮০ থেকে ৮১ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে ৪৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহের সঙ্গে দাফন বাবদ ২০ হাজার করে টাকা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার সকালে ১১ সদস্যের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম জুলফিকার রহমান বলেন, কেমিক্যালের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।