নকশা করা কাঠের আসবাব পরিষ্কারের উপায়
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

ফার্নিচার বলেন আর আসবাবপত্র, যেটাই বলিন না কেন সবার আগে কিন্তু মাথায় আসে কাঠের আসবাব। আর বেশীরভাগ মানুষের পছন্দ হচ্ছে কাঠের আসবাব। তবে কাঠের আসবাবস বসময় নির্ভর করে কার বাড়িতে যাচ্ছে। অর্থাৎ ব্যাক্তির রুচির ওপর সব সময় নির্ভর করে। অনেকে কাঠের প্লেন বা সাদামাটা ফার্নিচার পছন্দ করেন। আবার অনেকে অনেক নকশাদার ফার্নিচার পছন্দ করেন। ফার্নিচারের ডিজাইন প্লেন হলে কোনো সমস্যা নেই। কারণ পরিষ্কার করা সহজ। ঝামেলা বাঁধে নকশাদার বা খাঁজকাটা ডিজাইনের আসবাব নিয়ে। কারণ ডিজাইন বা খাঁজের মাঝে ধুলাবালি ও ময়লা জমে বেশি। আর পরিষ্কার করাও অনেক কষ্ট। আসুন আজ আমরা নকশাদার কাঠের ফার্নিচার কীভাবে সহজেই পরিষ্কার করা যায় সেই সম্পর্কে জেনে নেই।
প্রতিদিন স্বাভাবিক নিয়মে কাপড় দিয়ে আসবাব পরিষ্কার করার সময় খাঁজকাটা নকশার জায়গাগুলো ব্রাশের সাহায্যে পরিষ্কার করে ফেলুন। কয়েক দিন বিরতি দিলেই এসব খাঁজে ধুলা-ময়লা জমে যায়। জমে যাওয়া ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করতে গেলে ঝক্কি বাড়ে।
জমে থাকা ময়লার কারণে ঘরের সৌন্দর্যহানি ঘটে, আবার তা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণও বটে। বড় বড় খাঁজের নকশা করা আসবাবের জন্য বড় ব্রাশ আর খুদে নকশার জন্য ছোট ব্রাশ প্রয়োজন। ছোট ব্রাশ হিসেবে পুরোনো টুথব্রাশও কাজে লাগাতে পারেন।
কাঠের আসবাব পরিষ্কারের সময় পানি লাগাবেন না। এতে বার্নিশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত শুকনা কাপড় ও ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করলে বার্নিশের চকচকে ভাবটা দীর্ঘদিন পর্যন্ত থাকে। অন্যথায় সহজেই ধুলা জমে যায় কাঠের খাঁজে।
ধুলা জমে গেলে তা পরিষ্কার করার জন্য ব্রাশ পানিতে ভিজিয়ে নেওয়ার পর পানি ঝেড়ে নিতে পারেন। এরপর ভেজা ব্রাশ দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন।
পানির কারণে কাঠের সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ধুলা জমে থাকাটা স্বাস্থ্যকর নয়। তাই কাঠের খাঁজে যদি ধুলা জমেই যায় তাহলে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ব্রাশ ব্যবহার করুন, এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো পরিষ্কারক দ্রব্য ব্যবহার করবেন না
এখন বাজারে নানা ধরনের উডেন ক্লিনার পাওয়া যায় সেগুলো দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন। এগুলো দিয়ে পরিষ্কার করলে পরিষ্কার করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
কোনো বিশেষ দিন বা সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে প্রতিদিন ঘর বা মেঝের সাথে ফার্নিচার পরিষ্কার করার অভ্যাস তৈরি করুন সেটা ভালো হয়।