রোববার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৩ ১৪৩২   ০৮ রজব ১৪৪৭

সঠিক ফাউন্ডেশন বেছে নেয়ার উপায়

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:৪৩ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

চেহারা ও ত্বকের তারতম্য অনুযায়ী সব মেকআপ ফাউন্ডেশনেও ভিন্নতা রয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডেরিএকধিক শেডের ফাউন্ডেশন বাজারে রয়েছে। কিন্তু আপনার জন্য কোনটি? তা জেনে অবশ্যই ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা উচিত। এটি কেনার সময় স্কিন এর ধরন ও গড়ন দু’টোর দিকের লক্ষ্য রাখতে হবে। কারো ত্বক অয়েলি কারো শুষ্ক আবার কারো কম্বিনেশন অথবা কারো নর্মাল টাইপের ত্বক হয়ে থাকে। তাই ফাউন্ডেশন কেনার সময় এই তিনটা দিকের (স্কিন টাইপ, স্কিন টোন আর কভারেজ ) কথা মনে রাখতে হবে। চলুন জেনে নেই কিছু টিপস-

 

১. ফাউন্ডেশন সবসময় হাতে লাগিয়ে দেখে কিনতে হয়। আর অবশ্যই ভালো ব্রান্ডের ফাউন্ডেশন নিবেন। আপনার স্কিনের রঙের থেকে ১ অথবা ২ টোন হালকা শেডের ফাউন্ডেশন নেবেন। সেই ফাউনডেশনটা নিজের চোয়াল বরাবর বা কপালে লাগাবেন আর সেটাকে ন্যাচারাল লাইটে দেখবেন আপনার স্কিনের সঙ্গে যাচ্ছে কিনা। মনে রাখবেন ভালো ফাউনডেশনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো সেটা খুব সহজেই স্কিনে মিশে যায়। মুখে যদি কোনো বলিরেখা থাকে বা যদি কোন দাগ ছোপ অথবা আনইভেন স্কিন টোন থাকে সেগুলোকে সহজে ঢেকে দেয়। 

২. স্কিন টাইপ বুঝে ফাউন্ডেশন বাছাই করুন। যদি আপনার স্কিন অয়েলি হয় তাহলে আপনি সেইসব ফাউন্ডেশন কিনুন যেগুলোর বোতলের গায়ে  “অয়েল ফ্রি” বা “অয়েল কন্ট্রোল” লেখা আছে। যে সমস্ত ফাউন্ডেশন ম্যাট ফিনিশ বা ম্যাট লুক দেয় সেগুলো এই ধরনের স্কিনের জন্য খুব কার্যকরী। ফাউন্ডেশন দেবার পরে পাউডার একটু চেপে চেপে লাগাবেন তাহলে সেটা ফাউনডেশনকে তাড়াতাড়ি শুকনো হতে আর স্কিনের সঙ্গে মিশে যেতে সাহায্য করবে। অবশ্যই পাউডার ঘষে ঘষে লাগাবেন না।

 

৩. শুষ্ক বা ড্রাই স্কিনের জন্য আর্দ্রতাযুক্ত বা ময়েশচারাইজারযুক্ত ফাউন্ডেশন প্রয়োজন। যেকোনো ক্রিম বেজড ফাউন্ডেশন কিনতে পারেন। সেসব ফাউন্ডেশন কিনুন যেগুলোর বোতলের গায়ে “হাইড্রেটিং” বা “ময়েশচারাইজার রিচ”লেখা আছে। ম্যাট ফিনিশিং এর ফাউন্ডেশন লাগাবেন না তাহলে আপনাকে নিষ্প্রভ দেখাবে।

৪. ক্রিম টু পাউডার বেজড ফাউন্ডেশন কম্বিনেশন ত্বকের জন্য খুব ভালোভাবে কাজ করে। আপনার যদি এই ধরনের স্কিন হয় তাহলে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করাই ভালো।

৫. যদি আপনার স্কিনে বলিরেখা দেখা যায় তাহলে আপনি মাঝারি কভারেজ যুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। ভুলেও হেভি কভারেজ যুক্ত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না তাহলে সেটাতে বলিরেখা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

৬. যাদের স্কিন খুব ভালো মানে কোন দাগ ছোপ নেই এবং যারা একটা ন্যাচারাল লুক চান তারা লাইট কভারেজ ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের ফাউন্ডেশন গরমকালে ভালো চলতে পারে আর রোজকার অফিস, কলেজে যেতে এরম কভারেজের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যায়।

 

৭. যাদের আনইভেন টোনের স্কিন বা যাদের সামান্য ব্লেমিসেস আছে তারা মিডিয়াম কভারেজের ফাউন্ডেশন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারবেন।

৮. হেভি কভারেজে ফাউন্ডেশন মূলত ফটো স্যুট, পার্টি ইত্যাদিতে চলে । এছাড়া যাদের স্কিনে খুব বেশি দাগ আছে তারা সেগুলো ঢাকতে এই ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন।

যদি আপনি খুব ফর্সা হন তবেই পিঙ্ক শেডের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। সাধারণত এশিয়ানদের হলদে শেডের ফাউন্ডেশন সবচেয়ে বেশি স্যুট করে। আর ফাউন্ডেশন সাধারণত সূর্য তাপ থেকে হালকা প্রোটেকশন দেয়। তাই শুধু ফাউন্ডেশন লাগিয়েই রোদে বের হবেন না তাতে স্কিন ট্যান হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই সানস্ক্রিন প্রথমে লাগিয়ে তার উপরে ফাউন্ডেশন লাগাবেন। এতে সান ট্যান হবে না। যদি সানস্ক্রিন না থাকে তাহলে আপনি বেবি ক্রিমও লাগিয়ে নিতে পারেন।