ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাব্যথা কেন হয়?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

কম-বেশি সকলেই মাথা ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন। কিন্তু অনেক সময়ে দেখা যায়, তেমন কোন কারণ ছাড়াই মাথাব্যথা করছে আর তাও সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পরই। মাথাব্যথা নিয়ে ঘুম থেকে উঠলে সারা দিনটাই খারাপ যায়।
তাই প্রতিদিনই মাথাব্যথা দূর করতে ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন? এমন চলতে থাকলে তা অচিরেই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আসুন জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার...
কারণ:
১) সকালে মাথাব্যথা হয় ও রাতে ঘুমের মধ্যে খুব নাক ডাকলে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া সিনড্রোম আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।
২) অতিরিক্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অস্থিরতা, শোক-দুঃখ, হতাশা চললে সমস্যা হতে পারে।
৩) প্রচুর ধূমপান করলেও এক সমস্যা৷ ঘুম কম হওয়া, ভুলভাবে বা ভুল বালিশে শোওয়া থেকে সমস্যা হয়।
৪) ঠান্ডা লাগা, নাক বন্ধ, আগের দিন একভাবে প্রচুর কাজ করা ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা নিয়ে ঘুম ভাঙতে পারে।
৫) কিছু বিশেষ ধরনের ব্রেন টিউমারে এ রকম হওয়ার আশঙ্কা আছে।
৬) মাইগ্রেনের সঠিক চিকিৎসা না করে যারা ব্যথার ওষুধের উপর ভরসা করে থাকেন, তাদের সকালের দিকে সমস্যা হয়।
৭) কিছু বিশেষ ধরনের ঘুমের ওষুধ, শর্ট অ্যাকটিং স্লিপিং পিলে অনেক সময় হয় এমন।
৮) অতিরিক্ত চা-কফি খেলে বা হঠাৎ বন্ধ করে দিলে উইথড্রয়াল এফেক্ট হিসেবে সকালে মাথাব্যথা হতে পারে।
সমাধান:
১) রাতে যাতে ভালো ঘুম হয় সে দিকে খেয়াল রাখুন। বিছানা-বালিশের দিকেও নজর দিন। শক্ত বা খুব নরম বালিশে ভুলভাবে ঘুমালেও এমন সমস্যা হয়।
২) মাথা ও কপালে মালিশ করুন।
৩) চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন৷ ঘুমোতে পারলে কষ্ট কমে যায় অনেক সময়। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠেই তো আর ঘুমোনো সম্ভব নয়। কাজেই ব্যথার মলম লাগিয়ে কষ্ট না কমলে এক-আধটা প্যারাসিটামল খেতে পারেন।
৪) হঠাৎ করে মাথা ব্যথা শুরু হলে ও দিনের পর দিন চলতে থাকলে জীবনযাপনে কোনো বড় পরিবর্তন এসেছে কিনা ভেবে দেখুন। এলে তা পাল্টানোর চেষ্টা করে দেখুন কষ্ট কমে কিনা।
৫) সমস্যা চলতে থাকলে সঙ্গে আর কী কষ্ট আছে দেখে সেই সংক্রান্ত অসুখের জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সেভাবে বুঝে উঠতে না পারলে বুঝতে না পারলে নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
৬) উদ্বেগ, হতাশা ও মানসিক চাপের সমাধান স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট। যার মধ্যে বিহেভিয়ারথেরাপি, ব্রিদিং এক্সারসাইজ ও মেডিটেশন অন্যতম। তবে মাইগ্রেন থাকলে ঠিক সময়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।
৭) বেশি চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হঠাৎ বন্ধ করে দেবেন না। প্রথম দিকে কাপের মাপ ছোট করে পরিমাণ একটু করে কমান। এতে শরীর অভ্যস্ত হয়ে গেলে দিনে দু-একবার কম খেয়ে দেখুন কেমন থাকেন৷ তারপর আস্তে আস্তে আরও কমাবেন।