রোববার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৩ ১৪৩২   ০৮ রজব ১৪৪৭

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে শাজাহান খানের নেতৃত্বে কমিটি

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:২৬ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টায় ১৫ সদস্যের একটি কমিটি করেছে সরকার। যার নেতৃত্বে থাকছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

এছাড়া সংসদে পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে পরিবহন মলিক-শ্রমিকদের আপত্তির বিষয়ে ‘বাস্তবসম্মত’ সমাধান খুঁজতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নেতৃত্বে আরো একটি কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়।

 

বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনে শৃঙ্খলা আনার ব্যাপারে আমরা অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকব এমন নয়, কিছুটা সমস্যা পরিবহনে আছে। আমার বিশ্বাস, সকলের সহযোগিতায় আমরা পরিবহনের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো।

সড়কে দুর্ঘটনা রোধ এবং শৃঙ্খলা ফেরানোর পথ খুঁজতে গঠিত কমিটিতে রয়েছেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এছাড়া তার সঙ্গে আছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা, যিনি জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবং বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ।

কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।

ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক ও শ্রমিক সমিতি থেকে দুজন এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক, বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে একজন করে প্রতিনিধি এই কমিটিতে থাকবেন। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি, ডিআইজি অপারেশনস এবং ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে।  

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে এই কমিটি ১৪ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।

তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন সংসদে পাস হয়েছে এবং নির্বাচনে আগে স্টেইক হোল্ডারদের পক্ষ থেকে কিছু কমেন্ট অ্যান্ড অভজারভেশন ছিল, কিছু সংশোধনের দাবি দাওয়া ছিল। আইন প্রণয়নের পর আইনটা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় কোনো বিধি বিধান করে, বাস্তবতার সঙ্গে যতটা সংঘতি রাখা যায়.. সেই বিষয়টা খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট তিনজন মন্ত্রীকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

তারা আইনটা প্রয়োগ করতে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করবেন। যেহেতু আইনের বিধি এখনো প্রণয়ন হয়নি, তাই স্টেইক হোল্ডারদের দাবির দিক বিবেচনা করে কিছু একটা করা যায় কিনা, সেটা পর্যালোচনা করে দেখবেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ, শ্রমিক-মালিক নেতারা।