ফের পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষেধাজ্ঞার দাবি বলিউডে
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রোববার
ফের ফিরে এল উরি হামলার পরের অবস্থা। ২০১৭ সালে কাশ্মীরের উরিতে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। তারপর ভারত জুড়ে আওয়াজ উঠেছিল, নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক পাকিস্তানি শিল্পীদের। বিনোদন জগতে যে কোনও পাকিস্তানি আর্টিস্টদের উপর জারি করা হোক নিষেধাজ্ঞা। সেই স্মৃতি ফিরে এল আবার। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে জঙ্গিদের হামলা চালানোর পর ফের পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি উঠেছে।
সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার খবরে বলা হয়, ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেকটরস অ্যাসোসিয়েশনের (IFTDA) প্রেসিডেন্ট অশোক পণ্ডিত বলেছেন, ‘পাকিস্তানে আমাদের ছবি রিলিজ করানোই উচিত নয়। যদি ভারত পাকিস্তান থেকে আয় করতে শুরু করে তাহলে ওরা আমাদের শত্রুই মনে করবে। শুধু ছবি নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও বাণিজ্যই বন্ধ করে দেওয়া দরকার।’ পদক্ষেপ অবশ্য ইতিমধ্যেই নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ‘টোটাল ধামাল’ ছবিটি পাকিস্তানে মুক্তি পাবে না। ট্রেড অ্যানালিস্ট অতুন মোহন জানিয়েছেন, যখন একটি ফিল্মের ডিস্ট্রিবিউশন পায় পাকিস্তান, তারা ওই ছবি থেকে অনেক টাকা ঘরে তোলে। এটা একেবারেই হতে দেওয়া যায় না। ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার্স প্রোডিউসরস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞা দু-চার দিনের জন্য নয়, যতদিন সম্ভব কার্যকর রাখা উচিত।
‘সিমরন’ ও ‘এম এস ধোনি’ ছবির নির্মাতা অমিত আগারওয়াল জানিয়েছেন, ‘আমার সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কারণ দেশের থেকে বড় আমার কাছে আর কিছু নয়।’
অভিনেত্রী শাবানা আজমি জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংস্কৃতির আদান-প্রদান বন্ধ হওয়া দরকার। যখন আমাদের জওয়ানরা শহিদ হয়ে যাচ্ছেন, তখন এসবের কোনও দরকার নেই। পুলওয়ামার হামলার পর তিনি ও জাভেদ আখতার তাদের করাচি যাত্রা বাতিল করেন।
অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত বলেছেন, ‘পাকিস্তান শুধু আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার উপর হামলা চালায়নি। ওরা আমাদের মর্যাদাকেও আঘাত করেছে। আমাদের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নাহলে আমাদের মৌনতার তারা ভুল মানে বের করবে।’
একই কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে অভিনেতা মোহিত রায়নার গলাতেও। তিনি বলেছেন, ‘শাবানা আজমি আর জাভেদ আখতার যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত একেবারে ঠিক। তাদের মতো অভিজ্ঞ মানুষের থেকে যখন এমন প্রতিক্রিয়া আসে, তা সিরিয়াসলি নেওয়া উচিত। গোটা দেশের এখন একসঙ্গে শহিদদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
