ঘরদোর পরিষ্কারের কিছু টিপস...
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৩০ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রোববার

নোংরা ঘরদোর যেমন বাড়ির সৌন্দর্য নষ্ট করে, তেমনই স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক। হাঁপানি, অ্যালার্জি সাধারণত ধুলোময়লা থেকেই হয়ে থাকে।
ঘরদোর পরিষ্কার করা সময়সাপেক্ষ এবং খাটুনিরও বিষয়। তাই বলে কী ঘরদোর পরিস্কার করবো না? হ্যাঁ! অবশ্যই করবো। আর তাই, আজ রইলো বাড়ি পরিষ্কারের জন্য কিছু টিপস-
> বাড়ি পরিষ্কারের জন্য নিজের হাতে এক ধরনের অল পারপাস ক্লিনার্স বানিয়ে রাখা ভালো। চার চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে প্রায় এক লিটার গরম পানি মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি বোতলে ভরে স্প্রে করে মুছে দিলেই ঘরদোর হবে ঝকঝকে তকতকে।
> অনেকেই মেঝেতে বাহারি কার্পেট সাজাতে পছন্দ করেন। ধুলো-ময়লা তাতে জমে বেশি। বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে চাইলে কার্পেট না রেখে ল্যামিনেট করা হার্ড ফ্লোর বা টাইল্স লাগাতে পারেন। কার্পেট রাখলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
> অনেকেই বাড়ি পরিষ্কার করতে গিয়ে টিভি, কাচের জানালায় সরাসরি লিকুইড সোপ স্প্রে করে মুছে নেন। এটি না করে বরং যে কাপড় দিয়ে মুছবেন, সেখানে সোপ স্প্রে করে তা দিয়ে রাব করুন।
> অনেক সময়েই প্রবেশপথে জুতোর দাগ ধরে যায়। তার জন্য দাগের ওপরে টেনিস বল ঘষতে পারেন। এতে দাগ হাল্কা হয়ে যায়।
> যে সমস্ত জায়গায় সচরাচর হাত পৌঁছায় না, যেমন সিলিং ফ্যান, সেখানে পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করুন পেন্টিং রোলার। রোলারের গায়ে ড্রায়ার শিট লাগিয়ে ফ্যানের ব্লেড বরাবর পরিষ্কার করতে পারেন।
> টাইল্সের ফাঁকে ফাঁকে ময়লা জমার প্রবণতা বেশি। তার জন্য ফাঁকা টিউবে থকথকে ওয়াশেবল সোপ ভরে নিয়ে দাগ বরাবর ঢালুন। কিছুক্ষণ পরে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
> বাড়ির সোফা, জানালা, আসবাব ইত্যাদি পরিষ্কারের জন্য অবশ্যই রাখুন মাইক্রোফাইবার।
> প্রতি সপ্তাহে অন্তত এক বার করে বিছানার চাদর, বালিশের কভার বদলানো উচিত। বিছানার চাদরের উপরে যে ব্ল্যাঙ্কেট পাতা থাকে, তা যদি প্রতি সপ্তাহে বদলাতে না পারেন, তা হলে উল্টে দিন। তবে মাসে দু’বার তা পরিষ্কার করা উচিত।
> অনেক সময়ে জুতায় ঘাম জমে দুর্গন্ধ ছড়ায়। তা ঘরের ভিতরের গন্ধ, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। জুতায় সামান্য বেকিং সোডা ছড়িয়ে রাখুন। দুর্গন্ধ কেটে যাবে।
> বাড়িতে বাচ্চা থাকলে অনেক সময়েই কাঠের আসবাবে মোম রং দিয়ে আঁকিবুঁকি কাটে। দাগ তোলার জন্য টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন। শুকালে পানি দিয়ে তুলে ফেলুন।
> বাড়িতে অনেকেই এয়ার পিউরিফায়ারের ব্যবস্থা রাখেন। কিন্তু একটি পিউরিফায়ার শুধু মাত্র একটি ঘর বা অল্প জায়গার জন্য ঠিক। পিউরিফায়ারও নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়। যে ঘরে যাতায়াত সবচেয়ে বেশি, এয়ার পিউরিফায়ার সেখানে রাখাই শ্রেয়।
> বাড়ির ফ্লোর ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। ঘরের এক কোণ থেকে শুরু করে দরজা অবধি পরিষ্কার করে বেরিয়ে যান।
> প্রত্যেক ঘরে গাছ রাখা ভালো। ইনডোর প্ল্যান্ট বেনজিন, ফর্ম্যালডিহাইড শোষণ করে ঘর দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তবে নিয়মিত গাছের পাতা পরিষ্কার করাও দরকার।
> ঝোড়ো হাওয়ার সময়ে দরজা-জানালা বন্ধ রাখা ভালো। বাতাসের মাধ্যমে পুষ্পরেণু ঘরে ঢোকে।
নিয়মিত বাড়ি পরিষ্কার রাখলে এক দিনে অনেক কাজ জমে থাকে না, আবার স্বাস্থ্যরক্ষাও হয়।