শুক্রবার   ২১ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৬ ১৪৩২   ৩০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ভোটের লড়াইয়ে এবার ৬৮ নারী প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৬৮ জন নারী প্রার্থী; এই সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি হলেও আনুপাতিক হারে তা খুবই কম। 

৩০০ আসনে মোট প্রার্থীর তালিকায় নারী প্রার্থীর সংখ্যা এখনও আটকে আছে ৪ শতাংশের মধ্যে, যা নিয়ে সন্তুষ্ট নন নারী অধিকারকর্মীরা। 

জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি ছিল নারী অধিকার সংগঠনগুলোর। তবে তাদের সেই দাবি দশম সংসদেও পূরণ হয়নি। 

২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে রাজনৈতিক দলুগলোর জন্য বিধিমালা প্রণয়নের সময় ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের শর্ত দিয়েছিল। তবে গত এক দশকেও কোনো দল তার ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেনি।  

দুই বছর জরুরি অবস্থার সময় বাদ দিলে গত দুই যুগের বেশি সময় দেশে বাংলাদেশের সরকার ও সংসদে বিরোধী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরা। গত দুটি সংসদে স্পিকারের দায়িত্বেও আছেন একজন নারী। কিন্তু আইনসভায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে খুব ধীর গতিতে।

১৯৭১ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন মাত্র দুই জন নারী। সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০ জন এবং তার আগে নবম সংসদ নির্বাচনে ৬৪ জন নারী প্রার্থী ছিলেন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে ১১৮ জন মনোনয়ন পেলেও চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নারী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ জন।

স্বতন্ত্র ৯৯ জন ও দলীয় ১৭৪৯ জনকে নিয়ে তিনশ আসনে এবার মোট প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা ১৮৪৮ জন। অর্থাৎ প্রার্থীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩.৬৮ শতাংশ। 

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নারী প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে এটা ইতিবাচক। তবে যে হারে বাড়ছে তা কোনোভাবেই আশাব্যঞ্জক নয়। রাজনৈতিক দলগুলো নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে- এই প্রত্যাশা আমরা করি।”

তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। কমিটিতে প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি ভোটেও নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। তা না হলে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন হবে না।