বৃহস্পতিবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৩ ১৪৩২   ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিশুর শ্বাসনালিতে কিছু আটকে গেলে কী করবেন

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:৪৩ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

শিশুর শ্বাসনালিতে কিছু আটকে যাওয়া ভয়ংকর ব্যাপার। এ সময় তার মুখ থেকে অদ্ভুত শব্দ বের হতে পারে অথবা মুখ হাঁ করে কোনো শব্দই করতে পারে না। এ ছাড়া তার ত্বক নীল অথবা লাল হয়ে উঠতে পারে।

 

শিশুর বয়স অনুযায়ী এ ধরনের অবস্থায় কী করণীয়, সেটা পরিবর্তিত হতে পারে। এই করণীয়গুলো শুধু ১ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুর জন্য প্রযোজ্য।

কাশতে দিন

শিশু যদি হুট করেই কান্না করতে না পারে বা কথা আটকে যায় তবে তার শ্বাসনালিতে আটকে থাকা জিনিস বের করতে সাহায্য করুন। শিশুকে কাশতে দিন। কেননা এসব ক্ষেত্রে কাশিই সবচেয়ে বড় সমাধান এবং কাশির মাধ্যমে সহজেই শ্বাসনালিতে আটকে যাওয়া বস্তু বের হয়ে যায়।

পিঠে চাপড় ও তলপেটে চাপ দিন

যদি শিশুর জ্ঞান থাকে কিন্তু কাশতে না পারে, কথা বলতে না পারে অথবা নিঃশ্বাস নিতে না পারে, তাহলে তাকে কোলে নিন। তারপর আড়াআড়িভাবে এক হাত তার বুকের ওপর রেখে সাপোর্ট দিয়ে তাকে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। শিশুর দুই কাঁধের মাঝখানে অন্য হাতের তালুর নিচের স্থান দিয়ে জোরে ধাক্কা দিন। প্রত্যেকটা ধাক্কা আলাদাভাবে দিতে হবে। এভাবে আটকে যাওয়া জিনিস বের না হলে শিশুর পেছনে বসে এক অথবা দুই আঙুল দিয়ে শিশুর নাভি খুঁজে বের করুন। অপর হাত মুঠো করে বৃদ্ধাঙ্গুলির সাইড দিয়ে শিশুর তলপেটের ঠিক মাঝখানে ধরুন।

এবার অন্য হাত দিয়ে এই হাতটির কব্জি চেপে ধরুন, তারপর দুহাত দিয়ে ওপর ও ভেতর দিক বরাবর শিশুর পেটে জোরে চাপ দিন। এভাবে পরপর পাঁচবার চাপ দিন। এভাবে পিঠে ও পেটে চাপ দিতে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত শিশুর শ্বাসনালিতে আটকে থাকা বস্তুটি বের না হয়ে যায়।

শিশু অচেতন হয়ে গেলে

শ্বাসনালিতে কিছু আটকে গিয়ে যদি শিশু অচেতন হয়ে পড়ে, তাহলে তাকে শক্ত ও সমান একটা স্থানে চিত করে শুইয়ে দিন। হাতের তালুর নিচের অংশ তার বুকের হাড্ডির ঠিক মাঝখানে রাখুন। অন্য হাতটি আগের হাতের ওপরে রেখে আঙুলগুলো একটি অপরটির ভেতর ঢুকিয়ে দিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সম্পূর্ণ ভর যেন থাকে হাতের তালুর নিচের অংশে। এরপর বুকে দুই ইঞ্চি নিচ পর্যন্ত ৩০ বার চাপ দিন। প্রত্যেকবার চাপ দেওয়ার আগে শিশুর বুককে তার আগের অবস্থায় ফিরে আসার সময় দিন।  তাতেও কাজ না হলে শিশুর মাথা এক হাত দিয়ে সোজা করে ধরুন। অপর হাত দিয়ে তার থুঁতনি ধরে সামান্য উঁচু করুন। এরপর দুই আঙুল দিয়ে শিশুর নাক শক্ত করে বন্ধ করে তার মুখের ওপর মুখ রেখে জোরে যতক্ষণ পর্যন্ত না শিশুর বুক ফুলে ওঠে ততক্ষণ পর্যন্ত তার ফুসফুসে বাতাস দিন। তবে কোনো অবস্থাতেই মুখের মধ্যে আঙুল ঢোকাবেন না। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান শিশুকে। যতক্ষণ কোনো চিকিৎসক শিশুকে না দেখছে ততক্ষণ এভাবে চেষ্টা চালিয়ে যান। ভালো থাকুক সব শিশু।