বৃহস্পতিবার   ২০ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

নতুন দিনে মুক্তি পাচ্ছে ‘নগরকীর্তন’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৪৭ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

প্রযোজকদের মধ্যে ঝামেলা কাটিয়ে অবশেষে মুক্তির আলো দেখতে চলেছে ‘নগরকীর্তন’। মামলা বিচারাধীন থাকায় ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়নি ছবিটি। এবার কেটেছে আইনি জট। নির্মাতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে ছবিটি। 

 

 

সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার খবরে বলা হয়, ইতিমধ্যেই ছবিটি ৬৫তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চ থেকে নিয়ে এসেছে চারটি পুরস্কার। তার মধ্যে রয়েছে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড, সেরা অভিনেতা, সেরা কস্টিউম ও সেরা মেকআপ আর্টিস্টের পুরস্কার। অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্টের ব্যানারে নির্মিত এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী ও ঋদ্ধি সেন। এই ছবির জন্য প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ঋদ্ধি।

এই ছবি এক অর্থে তৃতীয় লিঙ্গের লড়াইয়ের কাহিনি। বাংলা ছবিতে যাদের গল্প খুব কমই উঠে এসেছে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের টেলিছবি ‘একটু উষ্ণতার জন্য…’-র হাত ধরে প্রথমবার তৃতীয় লিঙ্গের কাহিনি উঠে এসেছিল ছোটপর্দায় ভারতের ইটিভি বাংলায়। পরবর্তীতে ঋতুপর্ণ ঘোষ-চপল ভাদুড়ির অভিনয়ে কৌশিকের সাহচর্যে তাই প্রথমবার উঠে আসে বড়পর্দায় ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’তে। তবে নগরকীর্তন আরও অনেক বেশি সাহসী ছবি।

কাহিনি আবর্তিত হয়েছে এক পরিমলের গল্পকে কেন্দ্র করে। পরিমল বুঝতে পারে তার শরীর পুরুষের হলেও মনটা নারীর। তাই নারীসুলভতায় তার নাম হয়ে যায় পুঁটি (ঋদ্ধি)। সেই পুঁটি ভালবেসে ফেলে এক পুরুষ বাঁশিওয়ালা মধু (ঋত্বিক)-কে।

আর এই ভালবাসাই সমাজের চোখে হয়ে ওঠে অবৈধ, অনৈতিক। কিন্তু ভালবাসায় তো আর কোনও খাদ নেই। সমলিঙ্গের ভালবাসার এই জুটির আখ্যানগাথা, প্রেম পাওয়া না পাওয়ার গল্পই উঠে এসেছে এই ছবিতে।

ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচয়িতা পরিচালক স্বয়ং। ছবিতে অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন শঙ্করী (গুরু মা), বিদিপ্তা চক্রবর্তী, নীল মুখোপাধ্যায়, মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রাশিস রায় ও অন্যান্য শিল্পীরা। সংগীত পরিচালনায় প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিনেমাটোগ্রাফার শীর্ষ রায়, সম্পাদনায় শুভজিৎ সিং।