বৃহস্পতিবার   ২০ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

‘চলচ্চিত্রের উন্নয়নে দীর্ঘ পরিকল্পনা করতে হবে’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:০১ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

ঢালিউডের অন্যতম সফল নায়ক আমিন খান। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে রূপালী পর্দায় আগমনের পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র। এর মাধ্যমে কোটি ভক্তের হৃদয়ে তিনি স্থান করে নিয়েছেন।

তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই চলচ্চিত্রে অনেকটা অনিয়মিত দর্শকপ্রিয় এই নায়ক।  

 

আপনার বর্তমান ব্যস্ততার বিষয়ে কি বলবেন?

দুটি চলচ্চিত্রে কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। চলচ্চিত্রে দুটি হচ্ছে মাহম্মুদ হাসান শিকদার পরিচালিত ‘অবতার’ ও সাদেক সিদ্দিকি পরিচালিত ‘সাহসী যোদ্ধা’। এর মধ্যে ‘অবতার’ এর কাজ অনেকটা শেষের দিকে। এছাড়া আমি ওয়ালটন কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে আছি। তাই সে দিকটাতেই বেশি সময় ও মনোযোগ দিচ্ছি।

ঢালিউডের প্রথম সারির একজন তারকা অপনি, চলচ্চিত্রে অনয়িমিত হওয়াতে আপনার ভক্ত দর্শককেরা বঞ্চিত হচ্ছেন না?

ভক্ত দর্শককেরাতো কিছুটা বঞ্চিত হচ্ছেনই। আমি চাই না তাদের কোনোভাবেই বঞ্চিত করতে। আমি চাই চলচ্চিত্রে ব্যস্ত থাকতে। ভক্ত দর্শকদের কাছাকাছি থাকতে। কিন্তু এখনতো চলচ্চিত্র নির্মাণ অনেক কমে গেছে। যে কারণে সেদিক থেকে আমাকেও অন্যদিকে ব্যস্ততা বাড়াতে হয়েছে।

 

এই যে চলচ্চিত্র নির্মাণ অনেক কমে গেছে বলছেন, চলচ্চিত্র নির্মাণ কমে যাওয়ার কারণ কি বলে মনে করেন?

এর কারণে তো রয়েছে অনেক, তবে প্রধান কারণ বলতে গেলে লগ্নীকৃত টাকা ফেরত না পাওয়াই বলা যায়। একজন প্রযোজক একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যে টাকা লগ্নী করেন চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর সে টাকা যদি তিনি ফেরত না পান তাহলে কেন সে আবার নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণে টাকা দিবেন? হয়তো বা কোন কোন প্রযোজক এক বা দুবার এভাবে লগ্নী করতে পারেন, তবে সেটা বার বার করবেন না বলেই আমি মনে করি। আর এ জন্যই চলচ্চিত্র নির্মাণ কমে যাচ্ছে।

 

চলচ্চিত্রে লগ্নীকৃত টাকা ফেরত না পাওয়ার জন্য কে বা কারা দায়ী বলে মনে করেন?

এক কথায় বলতে গেলে এ জন্য আমরা সবাই দায়ী। কারণ এখন বিশ্ব প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলছে। সেই সঙ্গে হলিউড, বলিউড, তামিলসহ অনেক দেশের চলচ্চিত্র খাতও অনেক উন্নতি করছে। কিন্তু আমাদের অবস্থা সেই তুলনায় আগায়নি। আমরা এখনো দুই যুগ পেছনে পরে আছি। আমাদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে শুরু করে সব দিকই বলতে গেলে সেকেলে। আমাদের পরিচালকদের চলচ্চিত্র আরো অগ্রসর হতে হবে। মনে রাখতে হবে, চলচ্চিত্র এখন শিল্প। এই শিল্পে ভর্তুকী ব্যবস্থা রাখা দরকার। আর শিল্পকে শিল্পের গতিতেই এগিয়ে নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে সরকারকে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকতে হবে।

 

 

 

সরকার চলচ্চিত্রে বিভিন্ন দিকে ভূমিকা রাখছেন, নেতৃত্বে ভুমিকা রাখা বলতে কি বোঝাতে চাচ্ছেন, যদি একটু পরিস্কার করতেন।

আমাদের চলচ্চিত্রে এখন বিচ্ছিন্নভাবে অনেকেই কাজ করছেন। কিন্তু সেই কাজটা পরিকল্পনাহীন। যে কারণে এর সফলতা আসছে না। এই ক্ষেত্রে সরকারকে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে এটা হবে না। কারণ তারা সবাই নিজের উন্নয়ন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। তাই বিভিন্ন পরামর্শক বা পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ৫বছর মেয়াদি একটা পরিকল্পনা করে কাজ করতে পারলে অবশ্যই চলচ্চিত্র শিল্প তার নিজের সোনালী অতীত ফিরে পাবে।

 

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আগামী নির্বাচনে আপনার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি?

নাহ্, আমি আপাতত এসব নিয়ে কিছু ভাবছি না। এখন ভাবনায় শুধু কাজ আর কাজ। সেটা হোক চলচ্চিত্রের, হোন বিশেষ দিনের নাটক বা টেলিছবি বা অফিস। এই বাইরে আর কিছু নয়।