পোশাকে আমার ভাষা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। আমি কি ভুলিতে পারি........ কীভাবে ভুলব আমরা? এটা তো কখনই ভোলা সম্ভব না। বাঙালি জাতির এক বড় অর্জন একুশে ফেব্রুয়ারি। এই গৌরবের অংশীদার হতে ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন করছে গোটা বিশ্ব।
দিবসটি ঘিরে আমাদের দেশে হয়ে থাকে নানা আয়োজন। বাদ যায় না সাজ-পোশাকও। এই দিনের সাজ ও পোশাকে প্রাধান্য পেয়ে থাকে সাদা-কালো ও লাল রঙ।
পোশাক:
এবারো পোশাকের বিভিন্ন দোকান ও বুটিকগুলো অমর একুশকে সামনে রেখে তৈরি করছে নতুন নতুন নকশার রকমারি পোশাক। এসব পোশাকে ব্যবহৃত রং, কাপড়, নকশায় উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে ভাষা আন্দোলনের মহিমা।
এছাড়া পোশাকে যুক্ত হয়েছে একুশের গান, কবিতা, স্লোগান ও বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন পংক্তিমালা। ফলে এসব পোশাকে ফুটে উঠেছে বাঙালির নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
এর বাইরে শহীদ মিনার, মানচিত্র, পতাকাসহ একুশের বিভিন্ন চিত্রের নান্দনিক প্রকাশও ঘটেছে এবারের একুশের পোশাকে।
যেখানে পাবেন:
প্রগতি স্মরণির যমুনা ফিউচার পার্ক, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, কাওরান বাজারের বসুন্ধরা সিটির ফ্যাশন হাউসগুলো ঘুরে দেখতে পাবেন, দেশি ফ্যাশন হাউসগুলো একুশের চেতনায় উজ্জীবিত নানা ধরনের পোশাক নিয়ে এসেছে এবারের এই বিশেষ দিবসের জন্য তৈরিকৃত পোশাকে। লাল, সাদা, কালো রং দিয়ে তৈরি হয়েছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, কামিজ, টি-শার্ট এবং বিভিন্ন ধরনের শিশুদের পোশাক।
এছাড়া গজ কাপড়ের মধ্যেও বৈচিত্র্যময় বাংলা ভাষার বিভিন্ন বর্ণ দিয়ে ছাপ দেয়া হয়েছে। আপনি চাইলে গজ কাপড় কিনে তৈরি করে নিতে পারেন আপনার পছন্দ মতো পোশাক। রঙ ও নকশায় পুরোটা করে নিতে পারেন আপনার মনের মতো।
এবারও আমরা চাই একুশে ফেব্রুয়ারিতে আপনার সাজ-পোশাকে যেন ফুটে ওঠে ভাষার জন্য আপনার ভালোবাসা।