1. প্রচ্ছদ
2. লাইফস্টাইল

শুধু অফিস কেনো আমরা যারা কলেজ কিংবা ভার্সিটিতে তে পড়ি তারাও সারাক্ষণ ল্যাপটপ নিয়ে পরে থাকি। কিন্তু একবার কি এর সাইড ইফেক্ট এর কথা চিন্তা করি? এবার চিন্তা করেও লাভ কি? বিভিন্ন কারণে আমাদের এর সাথে থাকতেই হয় সাইড ইফেক্ট আছে বলে কি কম্পিউটার ব্যবহার বাদ দিব? না বাদ দিব না বরং একটু সচেতন তো হতেই পারি। চলুন তাহলে এবার কিভাবে কম্পিউটার টেবিল টি সাজাব তা জেনে নিই।

 

• কেমন হবে যদি মনিটরের পাশেই রাখি ছোট একটা গাছ। এটি আপনার চোখে প্রশান্তি এনে দিতে পারে। কাজের ফাকে অথবা চোখে ক্লান্তি এলে গাছটির দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকুন ফ্রেশ লাগবে। সবুজ রঙ চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। এবার দেখি কি ধরনের গাছ কম্পিউটার টেবিলে রাখা যায়।

 

• যেকোনো গাছই অফিসে বা বাসায় রাখা যায় না। এর যত্নআত্তিও কিছুটা ভিন্ন। বেশির ভাগ অফিস বা বাসা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত থাকে। প্রাকৃতিক আলো-হাওয়াও প্রবেশ করে না তেমন। এ রকম পরিবেশে করে ইনডোর প্ল্যান্ট রাখা উচিত। আকারে ছোট, কিছুটা লতানো আর দেখতে বাহারি—এ রকম ইনডোর গাছগুলোই সাধারণত অফিসে বা বাসায় রাখা হয়। এ ধরনের কিছু গাছ হলো হার্টলিফ, ফিলোডেনড্রন, পিস লিলি, লাকি ব্যাম্বু, অ্যারিকা পাম, পেপেরোমিয়া, অ্যান্থুরিয়াম ইত্যাদি। এছাড়া নানা রকম ক্যাকটাসও রাখা হয়। বনসাইও এখন বেশ জনপ্রিয়।

 

১• হার্ট লিফ- মানি প্লান্ট জাতীয় এটি এক ধরনের লতানো উদ্ভিদ। আকারে ছোট বলে টেবিলের কোনায় এটি বেশ মানানসই।

 

২• পিস লিলি- গ্রীষ্মের শুরুতে ফুল ফোটে এবং এক সপ্তাহ থাকে। ফুল বিবর্ণ হয়ে এলে বৃন্তসহ ফুল কেটে ফেলতে হয়। যদি ফুল না ফোটে, তবে কিছুটা উজ্জ্বল আলোতে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সরাসরি সূর্যালোকে নয়। পাতা চকচকে উজ্জ্বল সবুজ। গাছটি কিছুটা বিষাক্ত, তাই ফুল বা পাতা ছাঁটাইয়ের পর ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।

 

৩• লাকি ব্যাম্বু- অনেকের ধারণা, লাকি ব্যাম্বু সৌভাগ্য আনে, তাই এমন নাম। এর জন্য মাটি খোঁজার প্রয়োজন নেই। পানিভর্তি পাত্র বা বোতল হলেই হলো। এবার পাত্রে বা বোতলে গাছটা দাঁড় করিয়ে রাখতে পানিতে নুড়িপাথর ঢালুন। নুড়িপাথর পাবেন অ্যাকুরিয়াম বিক্রির দোকানে, কেজিপ্রতি ২০ টাকা। নতুন চারা দরকার? মাতৃ গাছের বাড়তি কাণ্ড কেটে পানিতে রাখুন। সপ্তাহ না যেতেই শিকড় গজাবে তাতে।

 

৪• অ্যারেকা পাম- ডেস্ক, টেবিল, স্তম্ভের পাশে ও সিঁড়ির গোড়ায় দারুণ মানায় অ্যারেকা পাম। আকারে প্রায় সাত ফুট লম্বা হয়, তবে গাছের আকার ছোট রাখতে চাইলে শুধু টবের আকারটা ছোট হলেই চলবে। সপ্তাহে একবার পানি দিলেই যথেষ্ট।

 

৫• পেপেরোমিয়া-পেপেরোমিয়ার পাতা বেশ উজ্জ্বল। পাতার বেগুনি, সবুজ, লাল রঙের কিনারা, তরমুজের মতো ডোরাকাটা দাগ আর ঢেউখেলানো আকার দেখতে ভালো লাগে।

 

৬• অ্যান্থুরিয়াম- সাদা, লাল, কমলা, গোলাপি বা বেগুনি রঙের ফুল উপহার দেবে অ্যান্থুরিয়াম। অতি শুষ্ক বা অতি আর্দ্র কোনোটাই এর পছন্দ নয়—চাই এ দুয়ের মাঝামাঝি।

 

৭• ক্যাকটাস- ক্যাকটাসে খুব বেশি পানি দিলে এর গোড়া পচে যায়। সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন সামান্য পরিমাণ পানি গাছের গোড়ায় দিয়ে দিন। লক্ষ্য রাখুন পানি জমে না থাকে।

 

৮• বনসাই- টেবিলের কোনে এরকম একটি বনসাই হলে কিন্তু খুব সুন্দর হয়। এমব হাজার রকমের বনসাই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।