শুক্রবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৩ ১৪৩২   ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কী আছে?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার

দেশের প্রথম সারির বিলাসবহুল হোটেলগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা’। এটিই বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল। তবে সম্প্রতি হোটেলটি ফিরে এসেছে নতুন রূপে। অনেকেরই জানার আগ্রহ, ‘নতুন’ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কী সুবিধা রয়েছে। হোটেলটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে এই আয়োজন-

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার বর্তমান অবকাঠামোয় রয়েছে ২২৬টি কক্ষ। যার মধ্যে রয়েছে ৪০ বর্গমিটার আয়তনের ২০১টি ডিলাক্স, প্রিমিয়াম ও এক্সিকিউটিভ কক্ষ। ৬০ বর্গমিটার আয়তনের পাঁচটি সুপিরিয়র স্যুইট। একই আয়তনের ১০টি ডিলাক্স স্যুইট, ৭৫ বর্গমিটার আয়তনের পাঁচটি ডিপ্লোম্যাটিক স্যুইট এবং ১৫০ বর্গমিটার আয়তনের পাঁচটি প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট রয়েছে হোটেলটিতে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল দুটি বলরুম ও সাতটি সভাকক্ষ প্রায় ২১ হাজার বর্গফুটের। প্রধান বলরুমটির নাম রাখা হয়েছে রূপসী বাংলা।

 

আধুনিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত সুইমিং পুল ছাড়াও জিমনেসিয়াম, স্পাসহ আধুনিক সব সুবিধাই রয়েছে ইন্টারকন্টিনেন্টালে। নতুন অবকাঠামোতে সুইমিংপুল নিয়ে যাওয়া হয়েছে হোটেলের ছাদে। এটি এখন হয়ে উঠেছে বিশালাকারের ‘ইনফিনিটি সুইমিং পুল’।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাঁচ-তারকা হোটেলে যেসব সুবিধা রয়েছে তার সবই রয়েছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায়। এর মধ্যে রয়েছে প্রশস্ত লবি, মিনি বার, ইন-রুম চা-কফির সেবা, জামাকাপড় ইস্ত্রির সুবিধা, জাতীয় দৈনিক, ইলেক্ট্রনিক নিরাপত্তা, উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ, এক্সপ্রেস চেক-ইন, বিজনেস সেন্টার, ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট, এক্সিকিউটিভ ক্লাব লাউঞ্জ, ব্যবসা কেন্দ্র, মিটিং কক্ষ, উপহারের দোকান, গাড়ি ভাড়া, লিমুজিন ও এয়ারপোর্ট শাটল সার্ভিস, ফিটনেস সেন্টার, বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের দিকনির্দেশনা সংবলিত গাইড বই।

 

রাজধানীর শাহবাগে প্রায় সাড়ে ৪ একর জমির ওপর অবস্থিত এ হোটেলটি ১৯৬৬ সালে চালু হয়। শুরু থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল ইন্টারকন্টিনেন্টাল। ১৯৮৪ সালে যুক্ত হয় শেরাটন হোটেল। ২০১১ সালের এপ্রিল শেরাটন চলে যাওয়ার পর ২০১৪ সালে সংস্কারের জন্য বন্ধ ঘোষণার আগ পর্যন্ত এটি সরকারি উদ্যোগে ‘রূপসী বাংলা’ নামে পরিচালনা করা হয়। ২০১৮ সালে এসে পুনরায় এটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল নামে যাত্রা শুরু করে। হোটেলটির এই সংস্কার কাজে ৬২০ কোটি টাকা খরচ হয়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও হোটেলটি চালু ছিল। সে সময় হোটেলটিকে ‘নিরাপদ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। হোটেলটিতে অবস্থান করে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করেছিলেন একদল বিদেশি সাংবাদিক। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার ছবি ধারণ করেছিলেন হোটেলে অবস্থানরত বিবিসির বিখ্যাত সাংবাদিক মার্ক টালি ও সাইমন ড্রিং, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) পাকিস্তান ব্যুরোর প্রধান আর্নল্ড জেইটলিনসহ আরো অনেক সাংবাদিক।